ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে বাংলার বিজেপি বিধায়কদের ‘যৌথ ক্লাস’ নিলেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। সে ‘ক্লাসে’ কয়েকজন ‘শিক্ষার্থী’ ঈষৎ বকাঝকাও খেলেন বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। তবে ‘ক্লাস’ শেষ হওয়ার পরে সব ‘শিক্ষার্থী’ই দাবি করলেন, এসআইআর নিয়ে সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির দুই ‘স্যর’।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলের কক্ষেই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সুকান্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এসআইআর নিয়ে দলের নির্দেশ বিধায়কদের কাছে পৌঁছে দিতে। এসআইআর চলাকালীন বিজেপি বিধায়কদের কর্তব্য কী, তা বিশদে বুঝিয়ে দিতে। এসআইআরের পাশাপাশি উদ্বাস্তুপ্রধান এলাকাগুলিতে সিএএ আবেদন জমা করার কাজ কী ভাবে চালাতে হবে, সে বিষয়েও বিশদে আলোচনা হয় বলে খবর।
রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে সুকান্ত বক্তব্য পেশ করার পরে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয় বিধায়কদের। প্রথমে বলা হয়েছিল, সুকান্ত পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তবে এসআইআর প্রক্রিয়া বা তাতে বিজেপির কর্তব্য সম্পর্কে বিধায়কদের অনেকের মধ্যেই এত রকমের ধোঁয়াশা ছিল যে, প্রশ্নসংখ্যা পাঁচে বেঁধে রাখা যায়নি। অন্তত ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় সুকান্তকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও সে সময় বেশ কিছু বিষয় বিধায়কদের স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন।
বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিজেপি পরিষদীয় দলের কেউই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তবে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, কয়েকজন বিধায়ককে দুই নেতার কাছ থেকে মৃদু ধমক খেতে হয়েছে। এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন নিজের নিজের নির্বাচনী এলাকায় বিধায়কদের যে তৎপরতা থাকা উচিত বলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, কারও কারও ক্ষেত্রে সে তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে। তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আবার কোনও বিধায়ককে ধমক খেতে হয়েছে, নিজের কর্তব্য পালন না-করে এসআইআর প্রক্রিয়াকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করানোর জন্য। বিজেপি সূত্রের দাবি অন্তত তেমনই। এসআইআর চলাকালীন বিধায়কদের যা করতে বলা হচ্ছে, তাঁরা সেটুকুই করুন। এসআইআরের সাফল্যের বিষয়ে আর কিছু ভাবার প্রয়োজন দলের বা বিধায়কদের নেই, এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।

