আইপিএলের ছোট নিলামের আগে শার্দূল ঠাকুরকে দলে নিতে পারেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষ। কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েন্কার লখনউ সুপার জায়ান্টস থেকে শার্দূলকে নিতে হলে মুম্বই কর্তৃপক্ষকে হয় সরাসরি টাকা দিয়ে কিনতে হবে। না হলে কোনও ক্রিকেটারের বিনিময়ে তাঁকে নিতে হবে। শোনা যাচ্ছে, অর্জুন তেন্ডুলকরকে ছেড়ে দিতে পারেন মুম্বই কর্তৃপক্ষ। সচিন তেন্ডুলকরের পুত্রকে নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে তাঁদের।
চেন্নাই সুপার কিংস রবীন্দ্র জাডেজা এবং সাম কারেনকে রাজস্থান রয়্যালসের হাতে তুলে দিয়ে দলে নিতে পারে সঞ্জু স্যামসনকে। একই পথে হাঁটতে পারে মুম্বই এবং লখনউ। মুম্বইয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শার্দূল কখনও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলেননি। একটি ক্রিকেট ওয়েব সাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের আইপিএলের নিজের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর আইপিএল নিলামে দল পাননি শার্দূল। পরে তাঁকে ২ কোটি টাকায় দলে নেন লখনউ কর্তৃপক্ষ। দলের একাধিক জোরে বোলার চোট পাওয়ায় নেওয়া হয় ৩৪ বছরের অলরাউন্ডারকে। এ বার তাঁকে আর রাখতে চাইছেন না লখনউ কর্তৃপক্ষ। শার্দূলকে সম্ভবত টাকা দিয়ে কিনে নেবেন মুম্বই কর্তৃপক্ষ।
টাকা বাঁচানোর জন্য লখনউকে দেওয়া হতে পারে অর্জুনকে। সচিন-পুত্রকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে দলে নিয়েছিলেন মুম্বই কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, অর্জুনকে নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছেন মুম্বই কর্তৃপক্ষ। দামের পার্থক্যের কারণে তাঁর সঙ্গে শার্দূলকে অদল বদল করা সম্ভব নয়। তাই অর্জুনকে লখনউয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়ে টাকা বাঁচাতে পারে মুম্বই।
বাঁহাতি অলরাউন্ডার অর্জুন এখনও পর্যন্ত আইপিএলের পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন। ১৩ রান করেছেন এবং ৩ উইকেট নিয়েছেন। অন্য দিকে, শার্দূল গত মরসুমে লখনউয়ের হয়ে ১০টি ম্যাচ খেলেন। ১৩টি উইকেট নেন। ব্যাট হাতে করেন ১৮ রান।

