Act Of War: অচিরেই আর একটা ভারত-পাক ‘যুদ্ধ’? কেন্দ্র কেন বলছে, ‘অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে’? দিল্লি বিস্ফোরণকে ‘অ্যাক্ট অফ ওয়ার’ বলে…

সরকারি সূত্র বলছে দিল্লি বিস্ফোরণের পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Op Sindoor On) শুরু হয়েছে! কেননা দিল্লিতে যা হয়েছে  (Delhi blast) তা প্রায় যুদ্ধই (Act of War)! এর অর্থ, এটি কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত এবং গুরুতর আক্রমণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। সোমবারের বিস্ফোরণটি ছিল ২২ এপ্রিলের পর প্রথম নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্ঘটনা। ওইদিন জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Jammu and Kashmir’s Pahalgam) জঙ্গিদের হাতে ২৬ জন অসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন (26 civilians killed by terrorists)।

অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে!

দিল্লির সন্ত্রাসী হামলার অপরাধীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারি সূত্রগুলি জানিয়েছে যে, ভারতের মাটিতে যে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবেই গণ্য করা হবে। সতর্কবার্তাটি এসেছে লাল কেল্লার কাছে ঘটা বিস্ফোরণের প্রাথমিক তদন্তের পরে– যেখানে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর সঙ্গে হরিয়ানার ফরিদাবাদে অবস্থিত জইশ-ই-মহম্মদের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাম আক্রমণের পর ভারতের অবস্থানকে তুলে ধরে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলি বলেছে– অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে!

কাশ্মীরে

সোমবারের বিস্ফোরণটি ছিল ২২ এপ্রিলের পর প্রথম বড় কোনো নিরাপত্তাজনিত দুর্ঘটনা। ২২ এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। যার ফলে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে ভারত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের উপরে।

রাজনাথ সিং 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন যে, দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচার হবে। তিনি নতুন দিল্লিতে বলেন, “দেশের প্রধান তদন্তকারী সংস্থাগুলি ঘটনাটির দ্রুত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে। তদন্তের ফলাফল শীঘ্রই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। আমি সকলে জোর দিয়ে বলতে চাই, এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচার হবে। কোনো পরিস্থিতিতেই তারা রেহাই পাবে না। প্রধানমন্ত্রীও ভুটান থেকে আজ প্রায় একই সুরে কথা বলেন। 

জইশের সঙ্গে যোগ

পুলিসসূত্র জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা উমর মহম্মদ ওই আই২০ (i20) গাড়িটির মালিক, যেটির মাধ্যমেই বিস্ফোরণটি ঘটে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পেশায় ডাক্তার উমর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন, কারণ গত কয়েক দিনে তদন্তকারীরা ওই মডিউলের দুই মূল সদস্য ড মুজাম্মিল শাকিল এবং ড আদিল রাদারকে গ্রেফতার করে। ফরিদাবাদে ২৯০০ কেজি সন্দেহজনক বিস্ফোরক বাজেয়াপ্তও হয়। সূত্রগুলি জানায়, উমর একটি কট্টরপন্থী ডাক্তারদের দলেরও সদস্য ছিলেন, যারা টেলিগ্রামে যোগাযোগ রাখত এবং পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে তাদের যোগ ছিল। ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থের মধ্যে ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং সালফার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.