বিপক্ষকে চাপে ফেলে দিয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার অভ্যাস পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। শুক্রবার তৃতীয় ম্যাচে গুয়াহাটির বর্ষাপারা স্টেডিয়ামে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে ১০০ রানে হারল তারা। কম রানের লক্ষ্যমাত্রা হলেও ব্যাটিংয়ে ধসের কারণে হারতে হল তাদের। কেউই সামান্য লড়াইটুকু করতে পারলেন না।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউ জ়িল্যান্ড। তবে শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। তিন রানের ব্যবধানে পর পর ফিরে যান জর্জিয়া প্লিমার (৪), সুজি বেটস (২৯) এবং অ্যামেলিয়া কের (১)। ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউ জ়িল্যান্ড।
বোঝাই যাচ্ছিল খুব বেশি রান হবে না। তবু নিউ জ়িল্যান্ডকে ২২৭ রানে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে সোফি ডিভাইন এবং ব্রুক হ্যালিডের জুটি। দু’জনে চতুর্থ উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়েন। দু’জনেই অর্ধশতরান করেছেন। তবে শেষের দিকে চালিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হন। তার পরেও শেষ ১০ ওভারে ৭৪ রান তুলেছে নিউ জ়িল্যান্ড, যা চাপে ফেলেছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের হয়ে মারুফ আখতার (১/৫৮) এ দিন ভাল বল করতে পারেননি। তবে স্পিনারেরা নজর কেড়েছেন। বিশেষ করে রাবেয়া খান (৩/৩০) এবং নাহিদা আখতার (১/৪৭)।
২২৮ রান মেয়েদের ক্রিকেটে খুব একটা কঠিন কাজ নয়। পিচও ধীরগতির ছিল না। কিন্তু বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচে বাংলাদেশকে যেটা সমস্যায় ফেলছে, সেটা দেখা গেল এ দিনও। চাপের মুখে ভেঙে পড়ল তাদের ব্যাটিং। কিউয়ি বোলারদের সামনে ৩৩ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা।
ব্যর্থ রুবিয়া হায়দার (৪), সারমন আখতার (৩), নিগার সুলতানা (৪), শোভনা মোস্তারি (২), সুমাইয়া আখতার (১), শোরনা আখতার (১)। তার পরেও যে বাংলাদেশ ১২৭ রানে পৌঁছোল, তার নেপথ্যে অবদান রয়েছে দু’টি জুটির। ফাহিমা খাতুন এবং নাহিদা আখতার মিলে সপ্তম উইকেটে ৩৩ রান এবং ফাহিমা-রাবেয়া খান (২৫) মিলে অষ্টম উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন।
বাংলাদেশ অনেক আগেই বুঝে গিয়েছিল ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। তাই টেস্ট খেলার ধাঁচে ব্যাট করছিল তারা। চেষ্টা করছিল যতটা সম্ভব খেলা চালানো যায়। তবে রাবেয়া ফিরতেই বাংলাদেশের সব প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে।

