বিতর্কে জড়াল ভারতের ওয়াটারপোলো দল। অহমদাবাদে চলছে ‘এশিয়ান অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ’। সেখানেই ভারতের ওয়াটারপোলো দলের খেলোয়াড়দের সাঁতারের পোশাকে ভারতের জাতীয় পতাকা আঁকা ছিল। অভিযোগ, এই কাজ করে জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করেছে ওয়াটারপোলো দল।
এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক ও ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ভারতের সাঁতার সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সাধারণত, ওয়াটারপোলো খেলোয়াড়েরা মাথায় যে টুপি পরেন সেখানে দেশের জাতীয় পতাকা আঁকা থাকে। ঠিক যেমনটা ক্রিকেটারদের হেলমেটে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে টুপির বদলে সাঁতারের পোশাকে জাতীয় পতাকা আঁকা থাকায় সমস্যায় পড়েছেন খেলোয়াড়েরা।
ভারতীয় সাঁতার সংস্থার কর্তারাও এই কাজে বিব্রত। সংবাদমাধ্যমকে এক কর্তা বলেছেন, “যা হয়েছে ভাল হয়নি। বিতর্ক হওয়াটাই স্বাভাবিক। পরের ম্যাচগুলোতে এই দৃশ্য আর দেখা যাবে না।” অবশ্য সেই সঙ্গে বাকি দেশের উদাহরণ টেনে ওই কর্তা বলেন, “বিভিন্ন দেশের ওয়াটারপোলো দল সাঁতারের পোশাকেই তাদের জাতীয় পতাকা এঁকে খেলতে নামে। কিন্তু জাতীয় পতাকার প্রতি আমাদের যে ভালবাসা ও সম্মান সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।” তবে কী ভাবে জাতীয় পতাকা আঁকা হল, বা হলেও কারও নজরে পড়ল না কেন, সেই বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি। কার নির্দেশে এই পোশাক তৈরি হয়েছে তা-ও জানা যায়নি।
বিশ্ব সাঁতার সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, চাইলে সাঁতারের পোশাকে জাতীয় পতাকা এঁকে নামা যায়। সেখানে জাতীয় পতাকা ও দেশের কোড লেখার জায়গা থাকে। তার মাপও নির্দিষ্ট থাকে। কিন্তু ‘ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া ২০০২’ অনুযায়ী, কোমরের নীচে কোনও পোশাকে জাতীয় পতাকা আঁকা যাবে না। অন্তর্বাস, বালিশ, রুমাল, ন্যাপকিনে জাতীয় পতাকা আঁকা যাবে না। এমন কোথাও যেন জাতীয় পতাকা আঁকা না থাকে যা মাটিতে লুটোতে পারে বা জলে ভিজতে পারে। সেই নিয়ম ভেঙেছে ওয়াটারপোলো দল। এখন দেখার, তার জন্য খেলোয়াড় বা কর্তাদের কোনও শাস্তি পেতে হয় কি না।

