নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতায় পথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিল সোমবার বেলা ঠিক ১টায় ময়দানের কাছে রেড রোডের অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ থেকে রওনা হয়। ওই মিছিল যায় জোড়াসাঁকো। সেখানে দুপুর দুটো নাগাদ মিছিল পৌঁছয়
যতক্ষণ না ক্যাব-এনআরসি প্রত্যাহার হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাব’’, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এমন চড়া ভাষাতেই মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতার চরম হুঁশিয়ারি, ‘‘ক্যাব করলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। এনআরসি করলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। তা না হলে করা যাবে না’’। একইসঙ্গে বিজেপিকে চরম নিশানা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘কী করবেন সরকার ফেলে দেবেন? ’’। চরম বার্তা মমতার।
আজ থেকে ১৩ টি বছর আগের কথা মনে আছে মাননীয়া ? আজ হতে ১৩ বছর আগে যেন কি হয়েছিল?
১৩ বছর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে কী বলেছিলেন তিনি? ১৩ বছর আগেও তাঁর কথা বলার ভঙ্গি একইরকম নাটকীয় ছিল। কণ্ঠস্বরেও ছিল এখনকার মতোই জোর। কেবল, বক্তব্যটা ছিল পুরোপুরি বিপরীত।
তৎকালীন বাংলার বিরোধী দলনেত্রী এবং তাঁর দলের একমাত্র সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বাংলাদেশ থেকে বাংলায় অনুপ্রবেশ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এটি এখন পশ্চিমবঙ্গের কাছে এক অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে”। তিনি এটিও তখন বলেছিলেন যে, ভোটার তালিকায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের নামও রয়েছে।
ওই সময় লোকসভায় তিনি এই ব্যাপারটিকে ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বলে বিতর্ক করতে চাইলে, তৎকালীন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে থামিয়ে দেন। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় পক্ষপাতিত্ব করছেন বলে তারপর অভিযোগ করেছিলেন মমতা। শুধু তাই নয়। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী, প্রিসাইডিং অফিসার, চরঞ্জিৎ সিংহ অটওয়ালের লক্ষ্য করে তাঁর হাতে থাকা একগাদা কাগজ ছুঁড়ে মেরে গোটা সংসদ কক্ষকে স্তম্ভিত করে নিজের পদত্যাগপত্র দিয়ে আসন ছেড়ে বেরিয়ে যান।
যদিও, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি লোকসভার অধ্যক্ষ। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় পরে বলেছিলেন, পদত্যাগপত্রটি যথাযথভাবে পেশ না করার কারণে গ্রহণ করা হয়নি।
কলকাতায় মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি রাজ্য দফতরের সামনে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে তৃণমূলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পদযাত্রা সংশ্লিষ্ট এলাকাতে পৌঁছোতেই চরম পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। গেরুয়া কার্যালয়ের সামনে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূল কর্মীরা।
কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরের সামনে উত্তেজনা। জুতো ছোড়া হল এলাকায়।
আচ্ছা মাননীয়া কে প্রশ্ন এটাই কি আপনার শান্তিপূর্ন আন্দোলন? জুতো ও ইঁট ছোঁড়া? এটাই কি শান্তির বিশেষ পদ্ধতির নমুনা?
মাননীয়া সর্বধর্ম সম্বনয় মানে কি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিশেষ ব্যবস্থা করা? হিন্দু মেয়েদের কাফের অওরাত বলা? মাননীয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মানে সরকারি সম্পত্তি লুট – নষ্ট করা, এ কি গনিমতের মাল ? নিঃশব্দে এথনিক ক্লিঞ্জিং করা ? আপনার প্রিয়দের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলেই হিন্দুদের এরেস্ট করা?
বাংলা তো বাঙ্গালী হিন্দুর হোমল্যান্ড মাননীয়া ….সেখানে বাংলাদেশি ভাইরা কি করছে ? মাননীয়া একটা প্রশ্ন ছিল….আপনি বলেছেন যে আইন না তুললে রাস্তায় রোজ প্রতিবাদ হবে । আইন না তুললে, আইন নিজের হাতে তুলে নেবে আপনার কথা অনুযায়ী প্রতিবাদকারীরা, যাদের ধ্বংস লীলা গত কয়েকদিন আমরা যত্রতত্র দেখে চলেছি। এর মানে কি? রোজ শান্তির বাহিনী রাস্তায় শান্তির জল ছেটাবে? আর হিন্দুরা আক্রান্ত হলে ???? কোনো বিচার নেই মাননীয়া…
আচ্ছা আজ আপনার মিছিলে বিশেষ পোশাক পড়া মানুষ বেশি ছিল কেন মাননীয়া? মাননীয়া ওরাই কি তবে আপনার প্রজা? আর হিন্দুরা কেন আপনার ডাকে উদাসীন? মাননীয়া কেবল ওরাই ছিল আপনার মিছিলে, তাই কি চারিদিকে সন্ত্রাস বিগত কয়েকদিনের থেকে আজ কম ছিল?
মাননীয়া হীরক রাজা কিন্তু শেষ অবধি খান খান হয়েছিল….মনে রাখবেন যে রাজা সাধারণ প্রজার জন্য ভাবে না, কেবল একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের পৃষ্ঠপোষক হয় , তার পতন অনিবার্য হয়..