গত শুক্রবার থেকে নিয়ে CAAকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার যে অরাজকতা চলছে তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের গৃহসচিবকে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে কয়েকটা প্রশ্ন:

১. যারা সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে তাদের কতজনকে শনাক্ত করা হয়েছে?

২. যারা এই কাজের প্ররোচনা দিয়েছে তাদের কতজনকে শনাক্ত করা হয়েছে?

৩. গত শুক্রবার থেকে নিয়ে রবিবার রাত পর্যন্ত এই বিষয়ে কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে?

৪. সরকারের কাছে কি ঘটনাগুলি ঘটার আগে কোনো গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল?

৫.ক. পুলিশ কড়া হাতে এই ধ্বংসলীলা থামানোর জন্য কোথায় কোথায় লাঠি চার্জ করেছে, কোথায় কোথায় কত রাউন্ড টিয়ার গ্যাস শেল চার্জ করেছে, কোথায় কোথায় কত রাউন্ড গুলি চালিয়েছে, কোথায় কোথায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে, ইত্যাদি?

৫.খ. যদি পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে পরিস্থিতির অবনতি হয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যাপারে কোনো বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কি?

৬. বুধবার রায় ঘোষণার পরে সম্ভাব্য আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত পরিস্থিতি উদ্ভব হলে তা আটকানোর জন্য কি কি স্বতপ্রণোদিত প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল?

৭. কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি সম্পত্তি এবং বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ কত?

৮. হামলাকারীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য কি পদক্ষেপ করা হবে?

৯. শুক্রবার থেকে অশান্তি ছড়িয়ে পড়লেও রবিবার কেন স্থানীয়ভাবে নেট পরিষেবা বন্ধ করা হলো?

১০. বিভিন্ন জায়গায় দুষ্কৃতীদের দ্বারা জ্বালানো আগুন নেবানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের দমকল বিভাগের ভূমিকা কি ছিল?

১১. শেষ প্রশ্ন। গত দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর জন্য কেবল কলকাতা শহরেই কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং গত ছয় মাসে শুধু কলকাতা শহরে বিভিন্ন আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কতবার লাঠি চার্জ করা হয়েছে এবং জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে?

সঞ্জয় সোম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.