‘সিএবি’ আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তখন অন্যদিকে এটির সমর্থনে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত শহর পরিক্রমা করে বিশাল মিছিল করল বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কয়েক হাজার বিজেপি সমর্থকরা সিএবি আইনের সমর্থনে এই মিছিল বের করেন। ক্যাব আইনের সমর্থনে বিজেপির এই মিছিলে বিজেপি কর্মীরা উদ্বাস্তু দের সাজে, উদ্বাস্তুদের সমস্যা, এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি গুলি বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডের মাধম্যে এই মিছিলের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেন।
মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”বিজেপির সমস্ত বিরোধী দলই চক্রান্ত করে বিশেষ গোষ্ঠীকে প্ররোচিত করছে। বৃহৎ এই চক্রান্তের মদত দিচ্ছে মূলত তৃণমূল। কখনই কোনও বিশেষ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্যাব আইনে কিছু বলা হয়নি।” এদিকে হাওড়ার উলুবেড়িয়াতে শুক্রবার যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার দায় তিনি সরাসরি চাপিয়েছেন তৃণমূলের উপর।
একদিকে ক্যাবের সমর্থনে মিছিল। অন্যদিকে, এই মিছিলের মধ্য দিয়েই বিজেপির বিরোধী দল গুলিকে বিষোদগার করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন,” একটা সময় সিপিএম এই বহিরাগত দের ভোটে জিতে রাজ্যে সরকার গঠন করত বলে অভিযোগ তুলেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিরাগতদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য এই বিলের সমর্থন করে, স্পিকারের মুখে কাগজ ছুঁড়ে ছিলেন তিনি। আর এখন তিনিই এই বিলের বিরোধীরা করছেন। এটা আমাদের হিন্দুস্থান, তাই আমরা এই বিলের মাধ্যমে যে হিন্দুরা এই দেশে এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছি। আর বেশি কিছু না। সংখ্যা লঘু ভাইদের বিরুদ্ধে যাবে এমন কিছু এই আইনে বলা নেই।”
তিনি বলেন, কংগ্রেস, সিপিএম আর তৃণমূল মিলে একটা অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করবার চেষ্টা করছে। যারা অন্য দেশ থেকে নিজেদের সম্মান রক্ষা করতে, ধর্ম রক্ষা করতে এই দেশে চলে এসেছেন। তাঁদেরকে এই বিলের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া ব্যবস্থা করেছেন মোদি সরকার। যাতে হিন্দু ও মুসলিম আমরা সবাই মিলে মিশে একসঙ্গে বাস করতে পারি। আর যারা এই দেশে এসে ভারত কে অশান্ত করতে চাইছে, ভারতের মাটি অনৈতিক ভাবে দখল করতে চাইছেন, তাদের খুঁজে বার করা হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে আছেন তারা সবাই আমাদের সঙ্গে আগের মতই থাকবো।