“প্রশান্ত কিশোর দলের কেউ নন ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে তাঁর মন্তব্য একান্ত ব্যক্তিগত। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে জেডি (ইউ) একমত নয়।” এভাবেই পেশাদার রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) আক্রমণ করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ঘনিষ্ঠ জেডি (ইউ) নেতা আরসিপি সিং (RCP Singh)। নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে (Narendra Modi Govt.) ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। লোকসভা ও রাজ্যসভায় নাগরিক সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিক টুইট করে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন তিনি।
শুক্রবার আবার এককদম এগিয়ে দেশের ১৬ জন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে জোট বেঁধে আন্দোলনে নামতে পরামর্শ দিয়েছেন এই ভোটগুরু। কিন্তু, তাঁর দল জেডি (ইউ) এখন কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম শরিক। আর পিকে এখনও জেডি (ইউ)-র সঙ্গে যুক্ত বলেই জেনে এসেছে তামাম রাজনৈতিক মহল। কিন্তু, আচমকা প্রশান্ত কেন্দ্র বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় জল্পনা শুরু হয় জাতীয় রাজনৈতিক মহলে।
তারপরই মুখ খুলেছেন নীতিশ ঘনিষ্ঠ জেডি (ইউ) JD (U) নেতা। আরসিপি সিং বলেছেন, “প্রশান্ত কিশোর আমাদের দলের কেউ নন। এক সময় তাঁকে দলের রাষ্ট্রিয় সহ সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছিল। এখন আর তিনি সেই পদে নেই। তাই তিনি যা বলছেন তা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে জেডি (ইউ)-এর কোনও সম্পর্ক নেই।”
তিনি আরও বলেন “নীতিশ কুমার তাঁকে অনেক সম্মান দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর দলের জন্য কোনও কাজ করেননি। একজন সদস্য পর্যন্ত তৈরি করতে পারেননি দলের হয়ে।” প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে কী জেডি (ইউ) নেতৃত্ব কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আরসিপি সিং বলেছেন, “দলের কাছে যার গুরুত্ব থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জেডি (ইউ)-র কাছে প্রশান্ত কিশোরের কোনও মূল্য নেই।”
প্রসঙ্গত, বর্তমানে আইপ্যাকের কর্ণধার প্রশান্ত কিশোর ব্যস্ত পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ও তামিলনাড়ুতে ডিএমকের (DMK) হয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাতে। পেশাদার ভোট কৌশলী হিসেবে এখন তিনি সেই কাজে মগ্ন। সম্ভবত, সেই কারণেই বিহারের রাজনীতি থেকে কয়েক যোজন দূরে তিনি। যেই কারণে তাঁকে নিয়ে আর বিশেষ আগ্রহ নেই নীতিশ কুমারের দলের। প্রশান্ত কিশোর খোলাখুলি নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করায়, এনডিএ সরকারের শরিক জেডি (ইউ)-ও প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।