মতুয়া মহাসংঘকে না জানিয়ে মতুয়াদের নামে ধর্না ডাকায় ক্ষুব্ধ মমতা বালা ঠাকুর। এই ধর্নায় তিনি যাননি। যদিও তিনি জানিয়েছেন, শরীর খারাপের জন্যই তিনি যাননি। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সিএবির প্রতিবাদে মতুয়াদের নিয়ে আজ কলকাতায় ধরনায় বসেছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু তৃণমূলের ডাকা সেই ধর্নায় কলকাতায় গেলেন না তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে শোরগোল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, তিনি কায়দা করেই শরীর অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে এই সম্মেলনে যাননি। তাঁর মত অনেকেই আজ কলকাতায় এই ধর্নায় যাননি। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই ধর্নার মূল উদ্যোক্তা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আজ সকাল থেকেই সেই ধর্না শুরু হয়েছে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। কিন্তু ধর্নায় যাননি মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতা বালা ঠাকুর। তাঁর বক্তব্য, এই সম্মেলন মতুয়াদের নামে হলেও কোনও মতুয়া সংগঠন এই সম্মেলন ডাকেনি।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে উদ্যোগ নিয়ে মতুয়াদের নামে তা ডেকেছেন। তাদের বক্তব্য, এতদিন ধরে মতুয়া সম্প্রদায় তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে আন্দোলন করে এসেছে। এবার বিজেপি নিঃশর্তভাবে বাংলাদেশ থেকে আসা সমস্ত হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য বিল এনেছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক বিরোধীতার জন্য এই বিলের বিরোধীতা করছে। কিন্তু মমতাবালা তা পারছেন না, কারণ তাদের পূর্বপুরুষরা যে বিষয় নিয়ে আন্দোলন করেছেন, তাই আজ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাহলে তিনি কিভাবে ধর্নায় যাবেন? তাই তিনি শরীর খারাপের অজুহাত দেখিয়ে এই ধরনায় যোগ দেননি।
এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, গতকাল খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁকে এই ধর্নার কথা জানান, কিন্তু তখনই তিনি বলে দেন তাঁর শরীর খারাপ, তাই তিনি যেতে পারবেন না। এরপরেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ধর্না মতুয়াদের নামে ডাকা হলেও তারা জানেন না। তাঁর অভিযোগ, মতুয়া সংঘের অনুমতি ছাড়াই এই ধরনা ডাকা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি নিজেও জানতাম না এবং আমাদের সভাপতি এবং -সসম্পাদক কেউই জানেন না।” তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, জোর করে মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে এই ধর্নায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি যারা যাননি, তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।