Kali Puja 2024: পুকুর থেকে উঠলেন সোনার বরণ মা! পুজোর আগেই কাটোয়ায় চাঞ্চল্য…

 কালীপুজোর আগেই পুকুর থেকে ধাতব কালী মূর্তি উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য কাটোয়ার গোয়াই গ্রামে। মূর্তিটিকে সোনার ভেবে চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। ধাতব কালীমূর্তি উদ্ধারকে ঘিরে গ্রামে চাঞ্চল্য। লোকমুখে প্রচার হয়ে যায় কাটোয়া থানার গোয়াইগ্রামের মাঝিপাড়ার কাছে একটি পুকুর থেকে সোনার কালীমূর্তি পাওয়া গিয়েছে। গ্রামে মূর্তি দেখতে ভিড় জমতে শুরু হয়। সন্ধ্যের সময় কাটোয়া থানার পুলিস এক স্বর্ণকারকে সঙ্গে করে গোয়াই গ্রামের মাঝিপাড়ার কালীমন্দিরে গিয়ে মূর্তিটিকে পরীক্ষা করে জানতে পারে মূর্তিটি পিতলের।

দশ ইঞ্চি উচ্চতার দক্ষিণাকালীর মূর্তিটি গ্রামের মন্দিরে ঠাঁই হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে গ্রামের মেয়ে ঋতু মাঝি পুকুরে স্নান করতে গিয়ে মুর্তিটা কুড়িয়ে পেয়েছে বলে জানায়। ঋতু মাঝি বলেন, স্নান করতে গিয়ে অয়ায়ে কিছু একটা ঠেকছিল। বার কয়েক ঠেকলে পরে তুলে দেখি কালীমূর্তি৷। বালতিতে পুড়ে মূর্তিটি বাড়িতে নিয়ে এসে পাড়া প্রতিবেশীদের দেখায়। সবাই বলে মূর্তি মন্দিরে রেখে পুজো করা হবে। বিকালের দিকে পুলিশ মূর্তি পাওয়ার ঘটনা জানতে পেরে গ্রামে যায়। গ্রামের মানুষের দাবি মূর্তি সোনার হোক আর রূপোর হোক মন্দিরে রেখে আমরা পুজো করব বলে পুলিশকে জানিয়েছি।

উল্লেখ্য, হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতি ও ধর্ম মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় বংশীহারির বিবিহার কালী পূজায়। এলাকার বাসিন্দারা বিবিহারের এই কালীকে নিজেদের ‘মা’ বলে মনে করেন। সব সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে পূজা দেওয়ার জন্য উপস্থিত হন। মুসলিমপ্রধান এলাকা। কিন্তু মুসলিমরাও এই পূজায় সমান অংশীদার হন। এলাকাবাসীদের মতে, মা বিবিহার জ্যান্ত কালী। এর প্রমাণও মিলেছে একাধিকবার। মায়ের মহিমায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনও এই পুজোয় সামিল হন। এখন থেলুবাবুর মৃত্যুর পর এই পুজোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর চার ছেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.