বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাঁচির কাছে এক আদিবাসী যুবতীকে অপহরণ করে ১২ জন মিলে ধর্ষণের ঘটনায় আগে থেকেই উত্তপ্ত ঝাড়খণ্ড। অভিযোগকারী ও তাঁর পরিবারের দাবি চরম শাস্তির। ওই যুবতী আইনের ছাত্রী।
অন্যদিকে তেলেঙ্গানায় পশু চিকিৎসক মহিলাকে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ৪ ধর্ষকের এনকাউন্টারে মৃত্যু ঘিরে আলোড়িত দেশ। পুলিশের দাবি, তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে তাগের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পালানোর সময় ওই চার জনকেই গুলি করা হয়। তাতেই মারা গিয়েছে ৪ ধর্ষক।
শুক্রবার এই এনকাউন্টারের কথা তেলেঙ্গানা থেকে ছড়িয়ে পড়তেই ঝাড়খণ্ডেও গণধর্ষকদের চরম শাস্তির দাবি প্রবল হচ্ছে। ৮ দিন আগে রাঁচির কাছে একটি ইটভাটায় ওই চার জন মিলে এক যুবতীকে লাগাতার ধর্ষণ করে।
অভিযোগ, বন্দুক দেখিয়ে ওই যুবতীকে অপহরণ করা হয়েছিল। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র বিশ্লেষণ করে গ্রেফতার করা হয় ১২ জনকেই। উদ্ধার করা হয় দেশি পিস্তল, অস্ত্র। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে তারা। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের মুখে রাঁচির এই গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি পরিচালিত সরকার। বিরোধী জে এম এম, কংগ্রেস, আরজেডি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরকারকে বিঁধতে শুরু করে।
এরই মাঝে হায়দরবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তীব্র আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি, রাঁচির গণ ধর্ষণও ঝাড়খণ্ড জুড়ে তৈরি করে বিতর্ক।