লাইভ স্ট্রিমিং জটে শেষপর্যন্ত ভেস্তেই গেল বৈঠক। ‘আমরা আরও অপেক্ষা করব’, বললেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। জানালেন, ‘আমরা ধরে নিচ্ছি যে. আজকের জন্য আলোচনার পথ বন্ধ হল। কিন্তু অন্য যেকোনও দিন যেকোনও জায়গায় যদি আলোচনার জন্য বলেন, আমরা আলোচনার জন্য সবসময় রাজি আছি’।
নবান্নেও বরফ গলল না! লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়া আলোচনায় বসতে রাজি নন জুনিয়র ডাক্তাররা। নবান্ন সভাঘরে বাইরে বসে থাকলেন তাঁরা। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। আমি পদত্যাগ করতেও রাজি আছি, ওরা বিচার পাক’।
স্বাস্থ্যভবনে ফিরে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যাওয়ার নবান্নে দাঁড়িয়ে তাঁরা বলে গেলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে।
আমরা কেউ ইগো থেকে লড়াই করছি না। বিচারের লড়াই। আমাদের যে পাঁচটি দাবি, সেটা বিচারের সঙ্গে জড়িত। শর্ত, ইগো যে শব্দগুলি ব্যবহার হচ্ছে, এগুলির প্রতি আমাদের তীব্র আপত্তি আছে। সরকার, চেয়ার ফেলে দেওয়ার কোনও সুপ্ত বাসনা নেই। কোনও অহংকার নেই, কোনও ঔদ্ধত্য নেই। মুখ্যমন্ত্রী যেরকম বললেন, হাজার হাজার রোগী চিকিত্সা পরিষেবা পাচ্ছে না। আমরা প্রত্যেকে যাঁরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি, তাঁদের কাছে রোগীদের সাথে,,সরকারি পরিষেবার রোগী তাঁরা…সরকারি পরিষেবার রোগীরাই আমাদেরকে ফোন করছেন, বলছেন প্রত্যেকে আমাদের পাশে আছে, একথা দৃঢ়ভাবে তারা জানিয়েছেন’।
কেন লাইভ স্ট্রিমিং নয়? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা যেটা বলছে, ঠিকই বলছে। একবার ওদের নিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করে দিয়েছিলাম, কিন্তু তখন সুপ্রিম কোর্টের কাছে বা সিবিআইয়ের কাছে কেসটা ছিল না। সেটা অন্য ঘটনা ছিল। আমরা রেকর্ডিং করার ব্যবস্থা করেছিলাম। সেটা চিঠি লিখে দিয়েছিলাম। বৈঠক যখন হবে, সবটাই রেকর্ডিং হবে। আমরা তিনটে ভিডিয়ো ক্যামেরা রেখে দিয়েছিলাম। তারা যদি চাইত, শেয়ার করতেও পারতাম। সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না’।