দাবি একটাই। বিচার চাই। রবিবার সেই দাবি নিয়েই মিছিলে যোগ দিলেন অসংখ্য মানুষ। প্রথম সারিতে নয়, মানুষের ভিড়ের মধ্যে হাঁটছিলেন দিতিপ্রিয়া রায়। সাধারণ নাগরিক হিসেবে এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী।
১৪ অগস্ট ‘রাত দখল’-এর কর্মসূচিতেও পথে নেমেছিলেন দিতিপ্রিয়া। অভিনেত্রী বলেন, “আমি সে দিনও ভিড়ের মধ্যেই ছিলাম। এক জন সাধারণ মানুষ হিসেবে বিচারের দাবি করছি। আলাদা করে আমার পরিচিতির প্রয়োজন নেই। এটা মনুষ্যত্বের লড়াই।”
ছোট পর্দা ও বড় পর্দায় একসঙ্গে কাজ করছেন অভিনেত্রী। এই সময়ে প্রতিবাদী মিছিলে পা মেলালে কাজে প্রভাব পড়তে পারে, এমন ভাবনা কাজ করেনি তাঁর মধ্যে? প্রশ্ন করতেই দিতিপ্রিয়া বলেন, “আমি এখন কিছু চাই না। যত ক্ষণ না সুবিচার আসছে, মাথায় অন্য কিছু আসছে না। কাল যদি আমার সঙ্গে এমন কিছু ঘটে, কত দিন আমার মা-বাবা লড়তে পারবেন আমার জন্য? সত্যি জানি না কত দিন ধরে লড়ে যেতে হবে।”
আরজি করের ঘটনায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, “বাড়িতে বসে থাকতে পারছি না। ভাইরাল হওয়া রেকর্ডিংগুলো শুনেছি। নির্যাতিতার বাবা-মা জানতে চাইছেন, মেয়ের জ্বর হয়েছে কি না। এগুলো শুনে এবং নির্যাতিতার উপর হওয়া অত্যাচারের কথা ভেবে আমি বাড়িতে বসে থাকতে পারছি না। দু’চোখের পাতা এক করতে পারছি না। এক জন মেয়ে এবং মানুষ হিসেবে এটাই চাইছি।”
একটানা চলছে প্রতিবাদ অন্দোলন, মিছিল। কাজের উপর কি প্রভাব পড়ছে তার? দিতিপ্রিয়ার সাফ জবাব, “কাজ সকলকেই করতে হবে। কিন্তু কাজের পরে এসে মিছিল করব। আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে তো আর কোনও ক্ষমতা নেই। এটুকুই আমরা করতে পারি।”