স্যেন নদীর বুকে জীবনের অন্যতম সেরা সম্মান পেয়ে গর্বিত পতাকাবাহী পিভি সিন্ধু

স্যেন নদীর বুকে ভেসে আসা বোটে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে সবার আগে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা দু’জন। শরৎ কমল এবং পি ভি সিন্ধু। প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের দুই পতাকাবাহী।

পতাকাবাহকের দায়িত্ব পেয়ে তিনি যে কতটা গর্বিত, তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বলেছিলেন সিন্ধু। ভারতের পতাকা হাতে ইনস্টাগ্রামে নিজের একটা ছবি দিয়ে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় লেখেন, ‘‘লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে জাতীয় পতাকা হাতে নিতে পারাটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সম্মান।’’

এর আগে জিয়ো সিনেমায় সিন্ধু বলেন, ‘‘অলিম্পিক ভিলেজে আসতে পেরে আমি দারুণ গর্বিত। এটা আমার তৃতীয় অলিম্পিক্স। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। ভারতের পতাকাবাহক হতে পেরে আমি দারুণ গর্বিত। লক্ষ্য থাকবে, দেশের হয়ে আর একটি পদক জেতার।’’

নিজের পঞ্চম অলিম্পিক্সে নামছেন শরৎ কমল। সিন্ধুর পাশাপাশি পুরুষ পতাকাবাহক হিসেবে ছিলেন এই টেবল টেনিস তারকা। তিনি বলেছেন, ‘‘গত তিন-চার মাস ধরে এই মুহূর্তটার অপেক্ষা করে আছি। এই দৃশ্যটা কল্পনা করে গিয়েছি।’’ শরৎ আরও বলেছিলেন, ‘‘যত ওই মুহূর্তটা সামনে আসছে, তত আমি উত্তৈজিত হয়ে পড়ছি। আরও ভাল লাগছে সিন্ধুর সঙ্গে এই দায়িত্বটা ভাগ করে নিতে পেরে।’’

সিন্ধুও বলেন, ‘‘শরৎ কমলের সঙ্গে পতাকাবাহক হতে পেরে আমিও খুশি। দু’জনের কাছেই এটা গর্বের মুহূর্ত। দেশের প্রতিনিধিত্ব করার, দেশের পতাকাবাহক হওয়ার একটাই সুযোগ পাওয়া যায়। শরৎ আমার সিনিয়র। অনেক বছর ধরে ওকে চিনি আমি।’’ সব মিলিয়ে ভারতের ৭৮জন ক্রীড়াবিদ এবং সাপোর্ট স্টাফ অংশ নেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.