গণতন্ত্রের জন্য তিনি গুলি খেয়েছেন। পেনসিলভেনিয়ার সেই ঘটনার পর প্রথম সভায় গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার পেনসিলভেনিয়ার সভায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হন হামলাকারী যুবক। গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। সভাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় শনিবার আবার সভা করেছেন ট্রাম্প। এ বারের সভাটি ছিল মিশিগানে।
শনিবারের সভা থেকে ডেমোক্র্যাটদেরও এক হাত নিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে যে প্রচার চালানো হচ্ছে, তারই পাল্টা দিতে গিয়ে গুলিকাণ্ডের কথা বলেন তিনি। ট্রাম্পকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে প্রচার করে থাকেন ডেমোক্র্যাটেরা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার এই তকমা। মিশিগানের সভা থেকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি অগণতান্ত্রিক নই, চরমপন্থীও নই। গত সপ্তাহে গণতন্ত্রের জন্যই আমি একটি গুলি খেয়েছি।’’
পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ডেমোক্র্যাটেরা জানেন না, তাঁরা কাকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রার্থী করেছেন। তাঁকে ভোট দিয়েই প্রার্থিপদে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ বার ওঁরাই ওঁকে সরিয়ে দিতে চান। এটাই আসল গণতন্ত্র।’’ ট্রাম্পের মিশিগানের সভায় অন্তত ১২ হাজার সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন বলে খবর। অনেকে বলছেন, গুলিকাণ্ডের পর সামনে থেকে ট্রাম্পকে দেখার এবং তাঁর ভাষণ শোনার উৎসাহ বেড়ে গিয়েছিল সমর্থকদের। সেই কারণেই মিশিগানের সভায় এত ভিড় হয়েছিল। সভায় গুলির আঘাতের সেই মুহূর্তের বর্ণনাও দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন ২০ বছরের টমাস ম্যাথু ক্রুকস। তিনি রিপাবলিকান হিসাবে নথিভুক্ত। তা সত্ত্বেও কোন আক্রোশ থেকে ট্রাম্পকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি, তা স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলেই আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিসের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান যুবক। তাঁর মাথায় গুলি করা হয়। ট্রাম্পের মঞ্চ থেকে ১১৯ মিটার দূরে একটি একতলা বাড়ির ছাদ থেকে গুলি ছুড়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় সভায় উপস্থিত এত দর্শকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও জখম হন আরও দু’জন। ট্রাম্পের কান থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গিয়েছিল। তবে তাঁর চোট গুরুতর নয়।