২ মে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল ২০২৪-এর মাধ্যমিক ফলাফল। এ বার ৮০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করেছিল ৯,২৩,৬৩৬ জন। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মোট ৯,১০,৫৯৮ জন পরীক্ষা দিয়েছে, এর মধ্যে ৪,০৩,৯০০ ছাত্র এবং ৫,০৮,৬৯৮ ছাত্রী।
চলতি বছরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭,৬৫,২৫২ জন। এ বছরের পরীক্ষায় ৭টি কম্পালসরি বিষয় এবং ৪৭টি ঐচ্ছিক বিষয় ছিল। পাশের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮৬.৩১ শতাংশ। ২০২৩-এ এই হার ছিল ৮৬.১৫ শতাংশ। প্রথম দশে রয়েছে ৫৭ জন পরীক্ষার্থী। রইল সবিস্তার মেধাতালিকা।
প্রথম হয়েছে চন্দ্রচূড় সেন। স্কুলের নাম: রামভোলা হাইস্কুল, জেলা: কোচবিহার। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯৩ (৯৯ শতাংশ)।
দ্বিতীয় সাম্যপ্রিয় গুরু। স্কুলের নাম: পুরুলিয়া জেলা স্কুল, জেলা পুরুলিয়া। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯২ ( ৯৮.৯৬ শতাংশ)।
তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ৩ জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ, বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা বাঁশুরি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্র নৈর্ঋতরঞ্জন পালের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।
চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে হুগলির কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপস স্কুলের ছাত্র তপোজ্যোতি মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর (৯৮. ৫৭ শতাংশ)।
পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাইস্কুলের ছাত্র অর্ঘ্যদীপ বসাক। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯ (৯৮.৪৩ শতাংশ)।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চার জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র কৃশানু সাহা, মালদহের মোজামপুর হাইস্কুলের ছাত্র মহম্মদ শাহাবুদ্দিন আলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র কৌস্তভ সাহু, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্রী অলিভ গায়েনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮ (৯৮.২৯ শতাংশ)।
সপ্তম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তিন জন পরীক্ষার্থী। বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের আবৃত্তি ঘটক এবং অর্পিতা ঘোষ, বালুরঘাট হাইস্কুলের সাত্বত দে পেয়েছে ৬৮৭ (৯৮.১৭ শতাংশ)। এ ছাড়াও বীরভূমের সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দিরের ছাত্র আরত্রীক সৌ, পূর্ব মেদিনীপুরের জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের ছাত্র সুপম কুমার রায়, বিবেকানন্দ আশ্রম শিক্ষায়তনের ছাত্র কৌস্তভ মাল, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র আলেখ্য মাইতিও সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
অষ্টম স্থানে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের ছাত্র দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলের ছাত্রী তনুকা পাল, নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র হৃদি মল্লিক। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬ (৯৮ শতাংশ)।