ঘূর্ণিঝড় বুলবুল লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে সুন্দরবনকে৷ ভেঙে পড়েছে কাচা বাড়ি,গাছপালা৷ ক্ষতি হয়েছে ফসলের৷ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে বহু মানুষ৷ ক্ষতি হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রের৷ তাই আগামী কয়েক দিনের জন্য বন্ধ থাকবে ঝড়খালি পর্যটনকেন্দ্র৷
বুলবুল বাংলাদেশে চলে যেতেই রাজ্যে আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে৷ আর এরই মধ্যে সুন্দরবনে ফের ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকরা৷ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়ার থেকেই সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন৷ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন৷ আগামী ১৭ই নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে৷ কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই অনেক পর্যটক হাজির হচ্ছেন সুন্দরবনে৷
এদিনে ঘূর্ণিঝড় অনেক পর্যটনকেন্দ্রের উপর গাছ ভেঙে পড়েছে৷ এখন সেগুলো সরানোর কাজ চলছে জোর কদমে৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চলছে৷ এছাড়া সুন্দরবন যেতে রাস্তায় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে আছে৷ সেগুলোও সরানোর কাজ চলছে৷ পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের পাশাপাশি আপাতত নদীতে ভ্রমণের জন্য সরকারি ছাড়পত্র দেওয়াও বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বুলবুল’ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন৷ হেলিকপ্টারে চেপে তিনি ওই এলাকা সার্ভে করলেন৷ আকাশপথে নামখানা ও বকখালির পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পরিদর্শনের পর কাকদ্বীপে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’এর জেরে দুর্গত মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা নিয়ে খোঁজ নেন৷