‘দু’মিনিটের ফূর্তি নয়, যৌন সংযম চাই’! কলকাতা হাই কোর্টের বালিকা-রায়ে হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের

কলকাতা হাই কোর্ট গত ১৮ অক্টোবর একটি রায়ে কিশোরীদের ক্ষণিকের আনন্দের জন্য বিভ্রান্ত না হওয়ার এবং যৌন আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছিল। পাশাপাশি, কিশোরদের জন্য আদালতের পরামর্শ ছিল, তারা যেন মহিলাদের যোগ্য মর্যাদা প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়। হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত, এক কিশোরীর সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ ছিল এক যুবকের। সম্পর্কে থাকাকালীন ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে যুবকের বিরুদ্ধে। গত অক্টোবরে পকসো আইনে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওই যুবককে বেকসুর খালাস করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, কিশোরীদের নিজের শরীরে অধিকার, সম্মান এবং নিজের মূল্য রক্ষা করতে হবে। যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কারণ দু’মিনিটের সুখের জন্য সেই নিয়ন্ত্রণ হারালে সে-ই সমাজের চোখে ‘ব্যর্থ’ হবে। নিজের গোপনীয়তা এবং শরীরের অধিকার নিজেকেই রক্ষা করতে হবে। কিশোরদেরও কিছু পরামর্শ দেয় আদালত। জানিয়েছে, কিশোরী এবং মহিলাদের যে কর্তব্যের কথা হাই কোর্ট জানিয়েছে, তাকে সম্মান করতে হবে। এক জন মহিলা, তাঁর আত্মসম্মান, তাঁর মর্যাদা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, শারীরিক অধিকারকে সম্মান করতে হবে কিশোরদের।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং পঙ্কজ মিত্তলের বেঞ্চে শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে। এর আগে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের একটি রায়েও স্থগিতাদেশ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। ইলাহাবাদ হাই কোর্টের একটি মামলায় ধর্ষিতা মাঙ্গলিক কি না, তা জানতে জ্যোতিষীদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কোর্ট। আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। এর পরেই স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.