অবসাদ যে ক্রমশ আমাদের সমাজের একটা বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে, তা নানা দিক থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এর প্রমাণ আর একবার মিলল রায় বরেলিতে। রায় বরেলি রেল কলোনির এক চিকিৎসক তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন।
ওই চিকিৎসকের নাম অরুণ কুমার। তিনি রেল দফতরে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন। মির্জাপুরের মানুষ কিন্তু চাকরিসূত্রে রায় বরেলি রেল কোয়ার্টারে থাকতেন। ঘটনার পরে পুলিস তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করেছে, গভীর অবসাদে ভুগতেন অরুণ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার তাঁদের শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল। সোম-মঙ্গল নাগাদ তাঁদের দুএকজন বন্ধু-বান্ধব তাঁদের ডাকতে গিয়ে কোনও সাড়া পান না। তখন দরজা ভাঙা হয়।
দরজা ভেঙে ডুকে তাঁরা বিস্মিত, শঙ্কিত হয়ে পড়েন। চারটি দেহ সামনে– অরুণ কুমারের, তাঁর স্ত্রী অর্চনার, মেয়ে আদিভার (১২) ও ছেলে আরাবের (৪)! ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায় হাতুড়ি, ড্রাগ ইনজেকশন। তাঁরাই পুলিসকে খবর দেন। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অরুণ। পুলিস জানিয়েছে, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এলে ছবিটা আরও পরিষ্কার হবে।
কমল কুমার দাস নামে অরুণের এক প্রতিবেশী জানান, অরুণ অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন, সকলের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করতেন। রোগীদের সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করতেন। তাঁর অনুমান, নিশ্চয়ই সংসারে কোনও সমস্যা ছিল, তাই এমন ঘটল।