Jet Airways: ব্যাঙ্ক ঋণের টাকা খরচ হয়েছে অন্য খাতে! বাজেয়াপ্ত জেট এয়ারওয়েজের ৫৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তি

জেট এয়ারওয়েজের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। হাওয়ালা কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়াতেই জেট এয়ারের ৫৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তি মানি লন্ডারিং আইনে (PMLA) সিজ করল ইডি। ওইসব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১৭টি ফ্ল্যাট, একাধিক বাংলো, বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে তালিকায়। যাদের নামে ওইলব সম্পত্তি রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে জেট এয়ারওয়েজের মালিক নরেশ গোয়েল, স্ত্রী অনিতা গোয়েল ও ছেলে নিবান গোয়েল। দুবাই ও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জেটের সম্পত্তিও রয়েছে ওই তালিকায়।

জেট এয়ারওয়েজ ছাড়াও জেট এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের সম্পত্তিও রয়েছে ওই তালিকায়। গতকালই জেট এয়ারওয়েজের মালিক নরেশ গোয়েল-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করে ইডি। কানাড়া ব্যাঙ্কের তরফে জেট এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয় তারা জেট এয়ারওয়েজকে ধার দিয়েছিল ৮৪৮ কোটি টাকা। তার মধ্যে ব্যাঙ্কের পাওনা ৫৩৮ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেফতার করা হয় নরেশ গোয়েলকে। তাকে রাখা হয় মুম্বইয়ের আর্থার জেলে। ইডির দাবি, ব্যাঙ্কের ওই টাকা সাইফন করেছেন ট্রাস্টি তৈরি করে। সেইসব সম্পত্তি করা হয়েছে বিদেশে। ব্যাঙ্ক থেকে যে টাকা লোন নেওয়া হয়েছিল তা দিয়ে সম্পত্তির পাশাপাশি সম্পত্তির পাশাপাশি আরও অনেককিছুই কেনার কথা ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখে শুনানির সময়ে নরেশ গোয়েল বলেন, বিমান সংস্থায় ব্যাঙ্ক ঋণে চলে। একে মানি লন্ডারিং বলা যায় না। ওইদিন নরেশ গোয়েলের পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা সওয়াল করেন, জেট এয়ারওয়েজের মালিক তাঁর পরিবারের জন্য কোনও ঋণ নেননি বা কোনও ঋণের জামিনদার হননি। তিনি ওই লোন নিয়েছিলেন ২০১১ সালের আগে। সেই টাকা তিনি খরচ করেছিলেন সাহারা এয়ারলাইন্স কিনতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.