নিজেকে বিশ্বের মুসলিমদের প্রতিনিধি মনে করা ইমরান খান এবার নিজেই সমস্যায় পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরান খান যেন ইস্তফা দেন তার জন্য দাবি জোর হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে, ইমরান খানের সরকার মিডিয়ার উপর বিশেষ কিছু নিষেধাজ্ঞা লাগিয়ে দিয়েছে। পাক মিডিয়া এখন আর নিজেদের ব্যাক্তিগত মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এফ) নেতা মৌলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে বিরোধীদের ‘আজাদি মার্চ’ ইসলামাবাদ পৌঁছে বড়ো আন্দোলন শুরু করেছে। পাকিস্তানের এখন তেহেরিক-এ-ইনসাফ এর পার্টি ক্ষমতায় রয়েছে ।
কিন্তু চারিদিক থেকে এই সরকারকে ভেঙে ফেলার জন্য প্রয়াস চলছে। কারণ পাকিস্তানের অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, মূল্যবৃদ্ধি চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। সাধারণ মানুষজন দু বেলা খাবারের জন্য সংগ্রাম করছে। পাক সরকার ক্ষমতায় আসার আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার একটাও পূরণ হয়নি। উলটে পাকিস্তান দেশ বিক্রি হওয়ার মতো সংকটে এসে দাঁড়িয়েছে। মৌলানা ফজলুর রহমান এর নেতৃত্বে বিরোধী পার্টিররা দেশে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। মৌলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, জনগণ যেমন চাইবে ঠিক সেইভাবে আমরা এগিয়ে যাবো।
মৌলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, ইমরান খানের সরকার দূর্নীতি করে ক্ষমতায় এসেছিল।
অর্থাৎ ইমরানের ক্ষমতায় আসার পেছনে পাকিস্তানের সেনার হাত আছে বলে ইঙ্গিত করেন মৌলানা ফজলুর রহমান। অন্যদিকে ইমরান খান বলেছেন, তিনি কোনোভাবেই ইস্তফা দেবেন না। কারণ ইস্তফা দিলে দেশে অরাজকতার পরিবেশ তৈরী হবে। মৌলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, আমাদের ইস্তফা চাই আর সেটা আমার নেবো। ইসলামাবাদে সমস্থ বিরোধীরা জড়ো হয়ে ডাক দিয়েছেন যে তারা ইমরান খানকে ৩ দিনের সময় দেবেন। বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন এবার ইমরান খানের সরকার ভেঙে ফেলার সময় চলে এসেছে। এই বার্তা দেওয়ার জন্য সমস্ত বিরোধী দল এক প্ল্যাটফর্মে এসেছে।