পশ্চিমবঙ্গের গর্ব বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এখন তৃণমূলের আতঙ্কে ভুগছে বলে দাবি সামনে এসেছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও তৃণমূলের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে বলে দাবি উঠছে। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সুরক্ষা নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্যাম্পাসে সিআইএসএফ কর্মীদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। এক চিঠি লিখে কেন্দ্র সরকারের কাছে ক্যাম্পাসের সুরক্ষার জন্য সিআইএসএফ নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এখন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুরক্ষার জন্য নিযুক্ত রয়েছেন তারা তৃণমূলের কথায় ওঠবস করে। ফলে কেও যদি কাজে অবহেলা করছে তার উপর সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য সিআইএসএফকে ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখা হয়েছে। নিঃস্বার্থ সেবা ভাব থাকা সুরক্ষা কর্মীরাই ক্যাম্পাসে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তাই সিআইএসএফ নিয়োগের দাবি উঠেছে। সিআইএসএফ মোতায়েনের আবেদনের একটি প্রতিলিপি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তাই প্রধানমন্ত্রী দফতরে আবেদনের একটি প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে। কোনো কর্মী কাজে অবহেলা করলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বাদ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তখন তৃণমূল সেই সময় বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কর্মীদের হয়ে কথা বলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়। তাই বিশ্বভারতীর শান্তি বজায় রেখে পরিচালনা করতে সিআইএসএফ বাহিনী নিয়োগের প্রয়োজন অনুভব করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দি, এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের দাবি করা হয়নি। এর আগে ২০১৭ সালে, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়েও একই দাবি উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তত্কালে দাবি করেছিল যে তাদের কাছে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের পরিচালনা করার মতো পর্যাপ্ত সুরক্ষা কর্মী নেই।