চাঁদে ঘনিয়ে এসেছে রাত। সেই কারণে ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ‘স্লিপ মোড’-এ চলে গিয়েছিল তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রমের আগে ঘুম পাড়ানো হয়েছিল রোভার প্রজ্ঞানকেও। প্রজ্ঞান এবং বিক্রম ‘স্লিপ মোড’-এ যাওয়ার পর মঙ্গলবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো তাদের এক্স হ্যান্ডল (টুইটার) থেকে একটি রঙিন ত্রিমাত্রিক ছবি পোস্ট করে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, এই ত্রিমাত্রিক ছবিটি দু’ভাগে তুলেছে প্রজ্ঞান। নেভিগেশন ক্যামেরা ব্যবহার করে এক বার বাঁ দিক থেকে এবং এক বার ডান দিক থেকে ছবি তুলেছে প্রজ্ঞান। তার পর সেই ছবি দু’টিকে মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে নতুন ত্রিমাত্রিক ছবি, যেখানে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
ইসরো জানিয়েছে, ‘স্লিপ মোড’-এ যাওয়ার কয়েক দিন আগে ল্যান্ডার বিক্রম থেকে ১৫ মিটার দূরত্বে গিয়ে রোভার প্রজ্ঞান এই ছবিটি তুলেছে। খালি চোখে ত্রিমাত্রিক ছবিটিকে প্রাথমিক ভাবে সাদা-কালো রঙের মনে হলেও ‘ত্রি-ডি গ্লাস’ পরে ছবিটিকে রঙিন দেখা যাবে।
ইসরো সূত্রে খবর, ন্যাভক্যাম স্টিরিয়ো ইমেজ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অ্যানাগ্লাফ ত্রিমাত্রিক ছবিটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ত্রিমাত্রিক ছবির বাঁ দিকের অংশটি রেড চ্যানেলের মধ্যে এবং ডান দিকের অংশটি ব্লু এবং গ্রিন চ্যানেলে অবস্থান করছে। ইসরো জানিয়েছে, ত্রিমাত্রিক এই ছবি ভাল ভাবে দেখার জন্য বিশেষ ধরনের গ্লাস বা চশমার প্রয়োজন।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে আবার সূর্য উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। চাঁদে আলো ফুটলে ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞান এবং বিক্রমকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।গত ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম। অবতরণের কিছু পরে তার পেটের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে রোভার প্রজ্ঞান। সেটি ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে ঘুরেছে। সেখান থেকে তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করে বিক্রমের মাধ্যমে তা আবার পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদে এখনও পর্যন্ত তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব হয়েছে। প্রযুক্তিগত কোনও রকম সমস্যা হয়নি।