বছর দুয়েক আগে বছর কুড়ির এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অপরাধে দু’জনকে ফাঁসি এবং এক মহিলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মেদিনীপুর আদালত। আগেই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাদের সাজা ঘোষণা করা হয়।
মেদিনীপুর আদালতের বিচারক কুসুমিকা দে (মিত্র) ওই সাজা ঘোষণা করেন মঙ্গলবার। ২০২১ সালের ওই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের বাসিন্দা ছোটু মুন্ডা, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা বিকাশ মুর্মু এবং পিংলার তেমাথানির বাসিন্দা তপতী পাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল আগেই। দোষীদের মধ্যে তপতীকে বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। বিকাশ এবং ছোটুকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
২০২১ সালের ৩ মে পিংলা থানা এলাকার ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তরুণীর মা বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির সময় কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে অনলাইনে পড়াশুনা করত ও। ঘটনার দিন ওকে দেখতে পাই ফোনটি বাড়িতে পড়ে আছে। সেই সময় আমাদের বাড়ির পিছনে একটি পুরনো মাটির বাড়ি ভেঙে ইট গাঁথা হচ্ছিল। সেই কাজে নিযুক্ত ছিল দুই পুরুষ এবং এক মহিলা। আমি মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে ওই ঘরে ঢুকে পড়ি। দেখতে পাই বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে ওর দেহ।’’
তরুণীর বাবা বলেন, ‘‘পিংলা থানার পুলিশ এসে আমার মেয়ের দেহ নিয়ে যায়। থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে পুলিশ এক মহিলা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে।’’
সরকারি আইনজীবী দেবাশিস মাইতি বলেন, ‘‘পিংলার ওই ঘটনায় মোট সাক্ষী ছিলেন ২৭ জন। ওই ঘটনায় দু’জনের ফাঁসি এবং দোষী মহিলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’’