এপ্রিলে মাকালু জয়ের আশা অপূর্ণ রেখেই বাড়ি ফিরেছিলেন পাহাড় কন্যা হুগলির পিয়ালি বসাক। তবে এবার তাঁর সেই আশা পূর্ণ হল। তবে তার মধ্যেও ছিল বিপদ। মাকালু জয় করে বেসক্যাম্পে ফেরার পথে মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রি ঠান্ডায় টানা ২২ ঘণ্টা তুষার ঝড়ে আটকে পড়েছিলেন পিয়ালি। সেখান থেকে কাঠমান্ডুর হাসপাতাল। শনিবার সেই হাসপাতাল থেকে চন্দননগরের বাড়িতে ফিরলেন পিয়ালি। ভাসলেন সংবর্ধনায়।
গত ১৭ মে মাকালু সামিট করে ফেরার পথে তুষার ঝড়ের মধ্যে পড়েন পিয়ালি। পঁচাত্তর ডিগ্রি ঢালের মধ্যে জুতোয় লাগানো ক্রাম্পনের ওপর ভর করে প্রায় ২২ ঘন্টা থাকার পরে এক রাশিয়ান পর্বতারোহী ও তার শেরপা পিয়ালিকে দেখতে পান। তাঁরা স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ করেন কাঠমান্ডুতে। তার পর শেরপারা গিয়ে কোনভাবে পিয়ালিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে ক্যাম্প থ্রিতে। তার আগেই তুষার ঝড়ে স্নো ব্লাইন্ডনেস হবার কারনে চোখে দেখতে পাচ্ছিলেন না। তাই পাহাড় বেয়ে নামতে পারেননি। বেস ক্যাম্পে নামিয়ে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় নেপালের লুকলাতে। হাসপাতালে বেশ কদিন ভর্তি ছিলেন। দুপায়ের চারটে আঙুল ফ্রস্ট বাইটের কারনে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেরে উঠতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এবার একটু সুস্থ হয়েই আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা,চো ইউ, সিসা পাংমা সহ আরও যেসব ৮ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার শৃঙ্গ রয়েছে সেগুলো জয়ের লক্ষে পাড়ি দেবেন পিয়ালি। বাড়ি ফিরতেই প্রতিবেশীরা উপস্থিত হয়ে তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানান পিয়ালিকে। এর আগে অন্নপূর্ণা জয় করার পর মাকালু অভিযান না করেই পিয়ালি ফিরে এসেছিলেন বাবার অসুস্থতার কারণে। আজ বাড়ি ফিরে প্রথমেই বাবার আশীর্বাদ নেন।