গণপিটুনি ভারতের সংস্কৃতি নয়, এটা পাশ্চত্যের ধারণা। তাই ওই শব্দ দিয়ে দেশকে বদনাম করবেন না। এমনটাই বার্তা দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। মঙ্গলবার দশেরায় নাগপুরে রেশমিবাগের মাঠে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন তিনি।
এদিন তিনি বলেন, এটা এমন নয় যে, কোনও নির্দিষ্ট একটি ধর্মকে টার্গেট করে এই ঘটনা ঘটছে। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, গণপ্রহার নামক শব্দটি ভারতের ঐতিহ্যে অনুপস্থিত, এটি অন্য জায়গা থেকে এসেছে এবং অন্য জায়গায় চলে। ভারতের উপর এই শব্দ চাপিয়ে দেওয়া উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গণপ্রহার সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এটি একটি পাশ্চাত্য ধারণা। এর সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই। এই ধরণের শব্দ ব্যবহার করে ভারতকে বদনাম না করার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, আমরা ভারতীয়রা ভাইয়ে ভাইয়ে সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে গণপ্রহারের কোনও মিল নেই বলে জানিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেছেন, সমাজকে সংবিধানের সীমার মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।
আরএসএস প্রধান বলেছেন, এব্যাপারে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিৎ এবং এই ধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিৎ। এদিন ভারতের সীমান্ত সুরক্ষার ব্যাপারেও মুখ খোলেন মোহন ভাগবত।
তিনি জানান, ভারতের সীমান্ত এখন অনেক বেশি সুরক্ষিত। একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, ভারতের উপকূল এলাকায় আরও সতর্ক প্র হরার দরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মোহন ভাগবত। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার ঘটনাকে তিনি প্রশংসা করেছেন এবং একইসঙ্গে বলেছেন, স্বার্থান্বেষীরা চায় না ভারত শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক।
পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্যই দেশের অর্থনীতির এই টালমাটাল অবস্থা। পাশাপাশি তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারটি আয়ত্তে আনার জন্য নানান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।