যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ভারতীয় সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ভারত কার কাছ থেকে কী কিনবে, তা অন্য কোনো দেশ নির্ধারণ করে দেবে না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়াদিল্লির সার্বভৌম অধিকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো তিন দিনের ওয়াশিংটন সফরে অংশ নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘রাশিয়ার অস্ত্র কেনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা নিয়ে ভারত আলোচনা করছে।’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পূর্বাভাস দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ভারতীয় সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ভারত কার কাছ থেকে কী কিনবে, তা অন্য কোনো দেশ নির্ধারণ করে দেবে না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়াদিল্লির সার্বভৌম অধিকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো তিন দিনের ওয়াশিংটন সফরে অংশ নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘রাশিয়ার অস্ত্র কেনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা নিয়ে ভারত আলোচনা করছে।’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পূর্বাভাস দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জয়শঙ্করের বরাতে জানিয়েছে, ‘সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতের সার্বভৌম অধিকার। এ বিষয়টি আমরা সব সময়ই মেনে চলি।’ মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে কিছু কিনব না কি আমেরিকার কাছ থেকে কিনব, এ ব্যাপারে কেউ কথা বলুক তা আমরা চাই না। বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আমাদের। আমরা মনে করি, প্রত্যেকের উচিত এ স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া।’
টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারত গতবছর ৫.২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে পাঁচটি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতি কিনতে সম্মতি জানিয়েছে। রাশিয়া বলেছে, প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলো ভারতে পাঠানোর কাজ চলছে।
২০১৭ সালের একটি আইনের অধীনে রাশিয়ার কাছ থেকে ‘বড়’ অস্ত্র ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন ও সিরিয়াসহ ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর সামরিকভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নেয়।
গত জুন মাসে তুরস্ক একটি এস-৪০০ কিনলে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে অব্যাহতি দেয়। দেশটির ওপর এখনো নতুন করে অন্য নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
জয়শঙ্কর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের উষ্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন। তবে ইরানের বিষয়ে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের সঙ্গে ভারতের অবস্থানের পার্থক্যের বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন। জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমাদের অবস্থান বিবেচনায় ইরান অনেক বেশি স্থিতিশীল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.