প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং বিজেপি নেতা গৌতম গম্ভীরের তীক্ষ্ণ কটাক্ষের মুখে এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার এই প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খানকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের পথিকৃৎ’ হিসেবে চিনহিত করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ইমরান খানকে তাঁর খেলার দুনিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর নিয়ে তাঁর বক্তব্যের প্রতি তীব্র কটাক্ষ প্রকাশ করেছেন তিনি। ইমরান খানের খেলাধূলার জগতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “স্পোর্টসম্যানরা সবসময়েই ভালো ব্যবহারের নজির রেখে যায়। এছাড়াও শক্তিশালী একটি চরিত্ররের উদাহরণ তুলে ধরে। কিন্তু ইমরান খান একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার হয়েও তিনি সন্ত্রাসবাদীদের পথিকৃৎ হিসেবে চিনহিত হয়েছেন।”
এদিন তিনি তাঁর ব্যাক্তিগত ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “স্পোর্টসের মানুষরা সাধারণত ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করে। ভালো আচরণের নজির তৈরি করেন। ঐক্য, নীতি, শক্তি এসবের উদাহরণ তৈরি করে। সম্প্রতি আমরা দেখেছি যে রাষ্ট্রসংঘে প্রাক্তন এই খেলোয়াড়ের মন্তব্য শুনেছি সন্ত্রাসের পথিকৃৎ হিসেবে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে বলতে উঠে আগাগোড়া ভারতকে দুষে গিয়েছিলেন। তিনি মঞ্চ পেয়ে ভারতকেই নিশানা করেছিলেন। কাশ্মীরিরা কত সমস্যায় আছে, তা জানাতে কংগ্রেসকে উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন। আরএসএসকে বিঁধতে গিয়েও সেই কংগ্রেসকেই কোট করতে হয়েছে তাঁকে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে যখন বিশ্বশান্তির বাণী দিয়েছেন, ঘুরিয়ে ইমরানকে যুদ্ধে এড়িয়ে শান্তির পথে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন, তখন ভারতকে আক্রমণ শাণাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই খেই হারান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রসংঘে বরাদ্দ সময়ের দ্বিগুণ সময় নিয়েছিলেন শুধু ভারতের প্রতি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে।
রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্যের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। পাক প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের প্রথম সচিব বিদিশা মৈত্র বলেন, “ইমরান খানের বক্তব্য উস্কানিমূলক এবং ঘৃণাপূর্ণ ছিল।” এর আগে, রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির মঞ্চ থেকে প্রায় ৫০ মিনিটের বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইমরান খান পারমাণবিক যুদ্ধের নিন্দা করতে গিয়ে আসলে অর্ধেক সময়টাই কাশ্মীর ও ভারত নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। ইমরান খানের সব অভিযোগের জবাব দিয়েছে ভারত।
ইমরান খানের বক্তব্যের জবাবে ভারত তার ‘রাইট টু রিপ্লাই’ ব্যবহার করেছে।মন্ত্রী মোদি যে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন, ইমরান ঠিক তার বিপরীত কথা বলেন। মোদি ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, অবিলম্বে কাশ্মীরের ‘অমানবিক কারফিউ’ অপসারণ করা উচিত এবং সমস্ত আটক ব্যক্তিদের মুক্ত করা উচিত। ইমরানের বক্তব্য রাখার কিছুক্ষণ আগে প্রধানলেন যে ভারত এমন একটি দেশ যা বিশ্বকে “যুদ্ধ নয় বুদ্ধ” দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তন বারবার পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থন চাইলেও ছবিটা প্রতিবারই বিপরীত। কাশ্মীর নিয়ে বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বিশ্বের সব শক্তিশালী দেশই প্রতক্ষ্যভাবে সমর্থন জানিয়েছে।