সোমবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন এবং জানান যে উত্তর প্রদেশের সরকারী মেডিকেল কলেজগুলি থেকে MBBD ডিগ্রি অর্জনকারী চিকিৎসকদের দুবছর গ্রামে কাজ করা বাধ্যতামূলক হবে। আর যারা এমডি এবং এমএস নিয়ে পড়াশোনা করছেন তাদের এক বছরের জন্য গ্রামাঞ্চলে কাজ করতে হবে। আয়ুষ্মান ভারত দিবসের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, “উত্তর প্রদেশের সরকারী মেডিকেল কলেজগুলি থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনকারী চিকিৎসকদের দুবছর গ্রামে কাজ করা বাধ্যতামূলক হবে।
অন্যদিকে এমডি এবং এমএস করেছেন এমন চিকিৎসকরা এক বছরের জন্য গ্রামাঞ্চলে কাজ করবেন এবং কাউকে ইন্টার্নশিপের জন্য বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। “জানিয়ে দি, যোগী সরকার উত্তরপ্রদেশকে বিকাশের বড়ো গতি প্রদান করতে উৎসাহিত রয়েছে। রাজ্যকে ২০২৫ পর্যন্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থব্যবস্থা করে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। ২০২০ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ১৫ টি নতুন মেডিকেল কলেজ এবং ২ টি এমস খোলার পরিকল্পনাও করেছেন। যার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জন স্বাস্থ্য পরিকল্পনার সাফল্যের উপর জোর দিয়ে আদিত্যনাথ জানান যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১.১৮ কোটি পরিবার উপকৃত হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী জন স্বাস্থ্য যোজনার মাধ্যমে ৮.৪৫ লক্ষ পরিবার উপকৃত হয়েছে এবং ১.৯৯ লক্ষ মানুষকে স্বর্ণ কার্ড বিতরণও করা হয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথ জানান যে তারা যখন এই যোজনা বা পরিকল্পনাটি শুরু করেছিল তখন তাদের অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এই পরিকল্পনা বা যোজনার লাভ সময়বদ্ধ রূপে লাভকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া খুব দরকার ছিল। আমরা এমন কিছু রণনীতি বা পরিকল্পনা তৈরি করলাম যেটা এই যোজনা বা পরিকল্পনাকে জনগণের কাছে পৌঁছাতে সফল হয়।
এছাড়া তিনি বলেন যে, “অনেক জেলায় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে, আবার কিছু কিছু জেলায় কাজের গতিও কমে গেছে । এ জাতীয় জেলাগুলির কাজ ত্বরান্বিত করা দরকার। ” স্বাস্থ্য বিভাগ সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে ভাল কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন যোগী আদিত্যনাথ। বিভাগটি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছাতেও সফল হয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রথমবার এত বড় সংখ্যক লোককে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য পরিকল্পনা।