৫০,০০০ দর্শক। মঞ্চে ডোনাল্ড ট্রাম্প। কার্যত বিশ্ববাসীর নজর ছিল হাউসটনের দিকে। কাকতালীয়ভাবে এদিন আবার ওয়াশিংটনেই রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর প্রতীক্ষিত সেই হাউডি মোদীর শো থেকে পাকিস্তানকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাম না করে পাকিস্তান আর তাদের মদতে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তর বিষয়টি নিয়ে কৌশলেই ফের একবার ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন মোদী।
শুধু ভারত নয়, পাক জঙ্গিরা যে আমেরিকাকেও টার্গেট করেছিল, সেকথাও এদিন ওয়াশিংটনকে মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না মোদী। বললেন, ”৯/১১ হোক বা ২৬/১১, ষড়যন্ত্রকারীদের কোথায় খোঁজ মিলেছে?” মনে করিয়ে দিলেন সেই পাকিস্তানেই মিলেছিল মোস্ট ওয়ান্টেড ওসামা বিন কাদেনের খোঁজ।
খুব স্বাভাবিকভাবেই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে মোদীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ৩৭০ ধারার জন্য অনকে উন্নয়নমূলক কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল কাশ্মীরের মানুষ। পাকিস্তান যেভাবে কাশ্মীর নিয়ে সরব হয়েচে, তার জবাব মোদী এদিন নাম না করে বলেন, ‘নিজেদের দেশ যারা সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষা করতে পারছেন না, তাদেরই সমস্যা হচ্ছে।’ এভাবেই পাকিস্তানকে কাশ্মীর নিয়ে কড়া জবাব দেন মোদী।
সেইসঙ্গে সন্ত্রাস দমনে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পাশে আছেন, সেকথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস দমন করার সময় এসেছে। যেসব দেশ তাদের মদত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর আমি একথা জোর দিয়ে বলতে চাই যে সেই লড়াইতে পাশে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।’
এদিন ভারতের বিভিন্ন ভাষায় মানুষকে মোদী বললেন, “সব খুব ভাল।” মোদী বলেন, ভারতে সব ঠিক আছে। হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোদী একা কেউ না। আমি ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের কাজে নিযুক্ত একজন সাধারণ মানুষ মাত্র। উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজ যা ভিড় হয়েছে তা অঙ্ক কষে বের করা যাবে না। আজ একটা ইতিহাস তৈরি হল। ট্রাম্পকে ধন্য়বাদ জানিয়ে এদিন বক্তব্য় রাখা শুরু করেন মোদী।