‘শহরের বুকে গুন্ডামি চলেছে’। পুলিসি হেফাজতে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জন। কতদিন? ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। তাঁকে পাঠানো হল জুভেনাইল হোমে। ধর্মতলায় অশান্তি ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
একদিকে পুলিস, আর অন্য়দিকে ISF কর্মী-সমর্থক। নেতৃত্বে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। গতকাল শনিবার বিকেলে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ধর্মতলা। কেন? প্রতিষ্ঠাদিবসে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন ইস্যুরে রাজ্যের বিরুদ্ধে ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন ISF-কর্মী-সমর্থকরা। এরপর যখন পুলিস তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিয়ে বলে, তখন দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। দফায় দফা চলে সংঘর্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালায় পুলিস। এমনকী, ছোড় হয় কাঁদানে গ্যাস। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক যান চলাচল বন্ধ ছিল ধর্মতলায়। এই ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
খুনের চেষ্টা, অশান্তি পাকানো-সহ মামলা রুজু করা হয়েছে জামিন অযোগ্য ধারায়। এদিন নওশাদ-সহ ১৮ জনকেই পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘বাংলা শান্তির জায়গা, যা ঘটেছে লজ্জাজনক। শহরের বুকে গুন্ডামি চলেছে। পুলিসকর্মীরা আহত হয়েছেন। অবস্থান তুলতে বলতে লাঠি-ইট দিয়ে হামলা। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে’। নওশাদের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, ‘পঞ্চায়েত দখল করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। পুলিস মাথায় মেরেছে, সেটা খুনের চেষ্টা নয়’? শেষপর্যন্ত অবশ্য ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
এদিকে সকাল থেকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে জমায়েক করেছিলেন ISF সমর্থকরা। দাবি, ‘বিধায়ককে মুক্তি চাই, আমাদের ভাইদের মুক্তি চাই’। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে একজন জনপ্রতিনিধিকে আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিস’। আদালতে ঢোকার মুখে নওশাদ সিদ্দিকি হুঁশিয়ারি দেন, ‘লড়াই চলবে’।
ধর্মতলায় অশান্তিতে আহত ১১ জন পুলিসকর্মী। সকলেই ভর্তি এসএসকেএম। হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল।