ভোটের আগে শুরু হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। জেলায় জেলায় জনসাধারণের সঙ্গে জন-সংযোগ করতে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’-রা । এবার রাজ্যের সভানেত্রী পৌঁছলেন দিদির দূত হয়ে। দিদির দূতদের দেখে গ্রামের রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে এলেন এলাকার মহিলারা। তৃণমূল নেত্রীর কথা শুনে হতবম্ভ গ্রামবাসীরা। দিদির দূত সাফ জানিয়ে দিলেন ভোট দিলে তবেই হবে রাস্তা। আগে ভোট দিন তারপর দেখা যাবে।
দিদির দূতের কাছে রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এমনই উত্তর পেলেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার ন’হাটায় দিদির দূত হিসেবে যান কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সেখানে তিনি এমনটাই বলেন। গ্রামের এক মহিলা সারথী দাস বলেন, আমি গ্রামের মানুষের কথা ভেবে দিদির দূতের কাছে ন’হাটার একটি রাস্তা সংস্কারের কথা বলতে গেলেই তিনি তার উত্তরে বলেন, আগে ভোট দিন তবেই রাস্তা হবে। এবছরে না হলে আগামী বছর হবে। এমন উত্তর শুনে হকচকিয়ে যায় কয়েকজন গৃহবধূ। তাদের কথায় এরপর আর কোনো অভিযোগ জানাননি তাকে। সারথিদেবী বলেন, ভোট তো তৃণমূল দলকেই দিয়ে আসছি। তবে নেত্রীর কাছে এমন উত্তর আশা করিনি।
যদিও কাললি ঘোষ দস্তিদার সাংবাদিকদের মুখমুখি হয়ে জানান, আমি যদিও যোগ করছিলাম। পরে ফের এমন কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ৪০ বছর ধরে বিরোধীদের দখলে ছিল এই এলাকা। তাই ওই রাস্তার দশা এমন হয়ে পড়ে আছে। আমরা ক্ষমতায় এসেছি করে দেব সব লিখে নিয়ে যাচ্ছি।
অন্যদিকে দিদির দূত হয়ে বাগদায় যান উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সভাধিপতি বিনা মন্ডল। গ্রামে ঢুকতেই এক তৃণমূল সমর্থক নিখিল অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্ধভক্ত বলে দাবি করে বিনাদেবীকে সামনে পেয়ে তিনি অভিযোগ করেন, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার ঘর পেয়েছে অনেক ব্যক্তি৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতারাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত৷ এখানকার নেতারা তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ কালিমালিপ্ত করছে৷ ইতিমধ্যে তাদের দল থেকে বের করে দেওয়া উচিৎ।
এই বিষয়ে বিনাদেবী বলেন, এক ব্যক্তি অভিযোগ জানিয়েছে সেগুলো দলের রাজ্য নেতাদের জানাবো৷ কমবেশি গ্রামের অনেক অভাব অভিযোগ শুনেছি সেগুলো অবশ্য আমরা সমাধান করব।