১৯১৯ সালের ১৩ ই এপ্রিল বৈশাখী উৎসবের দিন বিশ্বের অন্যতম নৃশংস ও বীভৎস হত্যাকান্ড সংগঠিত করে ব্রিটিশ সরকার। কোনোরকম প্ররোচনা ছাড়াই সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শক্তি ভারতে সাম্রাজ্য দখলে রাখতে প্রায় ১৬০০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে এক হাজারের অধিক নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে এবং আরও কয়েক হাজার মানুষকে আহত করে, যদিও সরকারিভাবে নিহত মানুষের সংখ্যা দেখানো হয় মাত্র ৩৭৯ জন।
ভারতীয় ডাকবিভাগ জালিয়ানওয়ালাবাগের সেই হত্যাকান্ডের স্মৃতিতে চারটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। ১৯৬৯ সালের ১৩ ই এপ্রিল হত্যাকান্ডের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০ পয়সা দামের স্মারক টিকিট ; ১৯৯৪ সালের ১৩ ই এপ্রিল ৭৫ বছর পূর্তিতে ১ টাকা দামের টিকিট এবং ২০১৯ সালে ১৩ ই এপ্রিল হত্যাকান্ডের শতবর্ষ পূর্তিতে ৫ টাকা এবং ২৫ টাকা দামের দু’টি ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
এছাড়া জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড সম্পর্কিত আরও দু’টি ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ সালের ৩১ শে জুলাই উধম সিং-এর স্মরণে ১ টাকার স্মারকটিকিট এবং১৯৯৮ সালের ১০ ই জানুয়ারি ২ টাকা দামের বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উধম সিং (২৬ শে ডিসেম্বর ১৮৯৯ – ৩১ শে জুলাই ১৯৪০) ছিলেন একজন বিপ্লবী যিনি হত্যাকান্ডের ২১ বছর পর ১৯৪০ সালের ১৩ ই মার্চ তার প্রতিশোধ নিতে লন্ডনে গিয়ে হত্যাকান্ডের অন্যতম খলনায়ক তথা পাঞ্জাব প্রদেশের সমকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মাইকেল ও’ডায়ারকে হত্যা করেছিলেন। অপর খলনায়ক তথা পাঞ্জাবের মিলিটারি কর্ণেল রেগিনাল্ড এডওয়ার্ড হারভে ডায়ার অবশ্য তার পূর্বেই মারা গেছিলেন।
নানক সিং (৪ ঠা জুলাই ১৮৯৭ – ২৮ শে ডিসেম্বর ১৯৭১) ছিলেন একজন পাঞ্জাবী কবি, সঙ্গীত রচয়িতা ও ঔপন্যাসিক। তিনি তার দুই সঙ্গীসহ বাগিচায় সেদিন উপস্থিত ছিলেন, যারা দু’জনেই গুলিতে মারা যান, তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন সেদিন। হত্যাকান্ডের এই অন্যতম সাক্ষী পরে একটি দীর্ঘ কবিতা লেখেন, Khomeini Visayans (Bloody Baisakhi).