ভারতের প্রথম নোবেল প্রাপক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহিত্যে অবদানের জন্য কোনও ভারতীয়র পাওয়া সেটাই একমাত্র নোবেল। তবে সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য আরও এক বাঙালির নাম নিয়ে চর্চা করেছিল নোবেল কমিটি। জানা গিয়েছে, ১৯৭১ সালে সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য নোবেলের মনোয়নন পেয়েছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫১ বছর পর সেই তথ্য প্রকাশ করল নোবেল কমিটি।
১৯৭১ সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাহিত্য অ্যাকাডেমির তৎকালীন সম্পাদক কৃষ্ণ কৃপালনি। তবে সেই বছরেরই ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় লেখকের। নিয়ম অনুযায়ী যেহেতু কাউকে মরণোত্তর নোবেল দেওয়া হয় না, তাই আর বিবেচিত হয়নি তারাশঙ্করের নাম। সেবছর সাহিত্যে নোবেল জিতেছিলেন পাবলো নেরুদা। সেবার সাহিত্যের নোবেলের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন গুন্টার গ্রাস, আর্থার মিলার, বোর্হেসের মতো সাহিত্যিকরাও।
প্রসঙ্গত, এতবছর ধরে শুধুই নোবেলজয়ীদের নাম প্রকাশ করত সুইডিশ কমিটি। তবে এবছর পুরোনো আর্কাইভ প্রকাশ করে কমিটি। জনসমক্ষে প্রথমবারের মতো আসে মনোনীত ব্যক্তিদের নাম। এই আবহে মনোনয়নের ৫১ বছর পর জানা গেল যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। ১৮৮৮ সালের ২৩ জুলাই বীরভূমের লাভপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬৫টি উপন্যাস, ১২টি নাটক ও ৫৩টি গল্প লিখেছেন তিনি। রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ, পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন তিনি। যদি ১৯৭১ সালে তারাশঙ্কর নোবেল জিততেন, তাহলে সাহিত্য ক্ষেত্রে দেশের দ্বিতীয় নোবেলটিও আসত এক বাঙালির হাতে।