বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মী, মণ্ডপে মণ্ডপেও, কোথাও ২২ ফুটের, কোথাও ১৮ হাতের দেবী এসেছেন

দু্র্গাপুজোর মতো ততটা জাঁক নেই। তবে ধন-সমৃদ্ধির দেবী বলে কথা। কিছু জায়গায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গেই পুজো হয় লক্ষ্মীর। কোথাও আবার প্রতিমার ভিন্ন রূপ দেখা যায়। কোজাগরী পূর্ণিমায় মালদহের বামনগোলায় যেমন ১৮ হাতবিশিষ্ট লক্ষ্মী পূজিতা হন। সিউড়ির পুরন্দরপুরে এ বার হয়েছে ২২ ফুট দীর্ঘ প্রতিমা।

গত ২০ বছর ধরে মালদহের বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া সারদা তীর্থ আশ্রমে পুজিত হয়ে চলেছেন ১৮ হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী। স্বামী গ্রিয়াকানন্দজি মহারাজ ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমটির প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০০ সাল থেকে তিনি ১৮ হাতবিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজো শুরু করেন। এই পুজো দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আসেন।

বীরভূমের সিউড়ির দু’নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর গ্রামে এ বছর ২২ ফুট লম্বা লক্ষ্মীপ্রতিমার আরাধনায় মেতেছেন স্থানীয়রা। ৩৫তম বছরে পা দিয়েছে এই সর্বজনীন পুজো। প্রতি বছরের মতো এ বছর থিমের পুজো হয়নি এখানে। পরিবর্তে ২২ ফুট লম্বা লক্ষ্মীপ্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিমা দর্শনে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ। অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বিষ্টুপুর গ্রামে চার দিন ধরে চলে লক্ষ্মীপুজো। দুর্গাপুজোর মতোই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী চার দিন ধরে নানা বিধি অনুসারে ধনদেবীর পুজোর আয়োজন করা হয়। গ্রামের বেশির ভাগ পুরুষ গ্রাম ছেড়ে ভিন্‌রাজ্যে গয়না তৈরির কাজ করেন। দুর্গাপুজোর সময় কাজের চাপ থাকায় তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারে না। পুজোর আনন্দ থেকে গ্রামের যুবকরা যাতে বঞ্চিত না হন, তাই ধুমধাম করে লক্ষ্মীপুজো হয় এখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.