আপাতত ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ। রায় দিল হাইকোর্ট। ওই দিন মেট্রো কর্তৃপক্ষ যাবতীয় বিপর্যয়ের কারণ জানিয়ে রিপোর্ট দেবে হাইকোর্ট, যার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীকালে কবে খননের কাজ শুরু হবে তা জানাবে কলকাতা হাইকোর্ট। মোদ্দা কথা আদালতের অনুমতি ছাড়া পুনরায় কাজ শুরু করা যাবে না বলে আজ নির্দেশ দিলেন বিচারপতিরা।
উল্লেখ্য, মেট্রো নিয়ে আগেই মামলা দায়ের করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। গতকাল আইনজীবী ঋজু ঘোষাল হাইকোর্টে সেই মামলার উল্লেখ করে বলেন, বউবাজারে মেট্রো বিপর্যয়ের জেরে ৩২৩টি পরিবার বিপদে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মামলাটি যাতে দ্রুত শোনা হয় তার আর্জি জানান তিনি। আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে আজকে শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি টি ডি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোর কাছে বিপর্যয়ের কারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায়।
উত্তরে কর্তৃপক্ষ জানায়, এর আগে মেট্রোর এত কাজ হয়েছে। কিন্তু কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। তারা আরও জানায়, বিপর্যয় ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি। ঘটনার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে ৩২৩টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত সব বাড়ির মেরামতি ও পুননির্মাণের দায়িত্বে মেট্রো কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে এদিন আরও জানায় হয় যে, সারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষজ্ঞরা আসছেন। তাঁরা মাটি পরীক্ষা করে দেখবেন। কী কারণে এই বিপর্যয় ঘটল? কীভাবে এই বিপর্যয় মোকাবিলা করা হবে? সেগুলি পরীক্ষা করে দেখবেন তাঁরা। এরপরই একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এইসঙ্গে মঙ্গলবার আদালত নির্দেশ দেয়, মূল্যবান সামগ্রী নেওয়ার জন্য ৩২৩টি পরিবার থেকে একজন করে নিজেদের বাড়িতে ঢুকতে পারবেন।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির কাছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ওই রিপোর্ট জমা দিতে দিতে হবে। ততদিন কাজ বন্ধ থাকবে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আগামী পদক্ষেপ নেবে আদালত।