পাঁচ প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যার জবাব খুঁজে বার করতেই হবে রোহিত শর্মার ভারতকে

এশিয়া কাপে ভারত ফেবারিট হিসাবে নেমেছিল। কিন্তু রোহিত শর্মার দল ফাইনালে উঠতে পারেনি। বড় জয় বলতে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানো। এর পর ভারত হেরেছে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের কাছে। জিতেছে দুর্বল হংকং এবং মানসিক ভাবে ক্লান্ত থাকা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দল নিয়ে উঠছে পাঁচটি প্রশ্ন।

তৃতীয় জোরে বোলার হিসাবে কে

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হার্দিক পাণ্ড্য দুর্দান্ত বল করেছিলেন। কিন্তু তার পর চোট পেয়ে আবেশ খান প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়ায় তৃতীয় জোরে বোলার হিসেবে হার্দিককে যখন সত্যিই দরকার পড়েছিল, তখন তিনি ব্যর্থ হন। সুপার ফোরের প্রথম দু’টি ম্যাচে বল হাতে প্রচুর রান দেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চার ওভারে ৪৪ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চার ওভারে ৩৫ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। বিশ্বকাপে তৃতীয় জোরে বোলার হিসাবে নির্বাচকরা কাকে দলে রাখবেন, সেটাই দেখার।

দীপক হুডার ভূমিকা কী

আইপিএল-এ লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে হুডা সাফল্য পেয়েছিলেন প্রথম চারে ব্যাট করতে নেমে। রবীন্দ্র জা়ডেজার অনুপস্থিতিতে হুডাকেই ফিনিশার হিসাবে দলে নেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন দলের ষষ্ঠ বোলার। কিন্তু তিনটি ম্যাচে মাত্র এক ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন হুডা। সেটিও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে, যখন ম্যাচের আর কোনও গুরুত্ব ছিল না। প্রশ্ন উঠেছে, দীনেশ কার্তিককে বাদ দিয়ে কেন হুডাকে খেলানো হল, যখন তাঁকে বোলিংয়ে সে ভাবে সুযোগই দেওয়া হল না? আর ব্যাট হাতে সুযোগ পেয়েও হুডা ব্যর্থ। বিশেষ করে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে হুডার অবদান যথাক্রমে ১৬ এবং ৩।

জাডেজার পরিবর্তে কাকে সুযোগ দেওয়া হবে

গত দেড় বছর ধরে জাডেজার পরিবর্ত হিসাবে ভারত তৈরি রাখছে অক্ষর পটেলকে। কিন্তু ঠিক যখনই অক্ষরকে নিয়মিত খেলানোর সুযোগ ছিল, ঠিক সেই সময় দুর্বোধ্য কারণে তাঁকে দলে না রেখে হুডাকে দল নেওয়া হয়। জাডেজা এবং অক্ষর দু’জনেই না থাকায় উপরের দিকে এক জনও বাঁহাতি ব্যাটারকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই কারণে ঋষভ পন্থকে খেলাতে হয়। কোপ পড়ে কার্তিকের উপর। পন্থ তিনটি ইনিংসে ১৪, ১৭ এবং অপরাজিত ২০ রান করেন।

মিডল অর্ডারে কি ব্যাপক বদল

টপ অর্ডার সফল হলেও ভারতের মিডল অর্ডার একেবারেই ভাল ব্যাট করতে পারেনি। সুপার ফোরে এর ফল ভোগ করতে হয়েছে রোহিত শর্মাদের।

তৃতীয় স্পিনার কে

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন উইকেট নিলেও যুজবেন্দ্র চহাল ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানকার মাঠগুলি বড় হওয়ায় চহাল দলের সম্পদ হতে পারেন। জাডেজার বদলে যদি অক্ষরকে দলে বিশ্বকাপের দল নেওয়া হয়, তা হলে তৃতীয় স্পিনার হিসাবে নির্বাচকদের বেছে নিতে হবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবি বিষ্ণোইয়ের মধ্যে এক জনকে। দু’জনেই যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন, কাজে লাগিয়েছেন। এই দু’জনের মধ্যে কে তৃতীয় স্পিনার হিসাবে দলে ঢুকবেন, সেটা দেখার ব্যাপার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.