ভোটাভুটির পালা শেষ। রাত পোহালেই জানা যাবে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে এই প্রথম রয়েছেন কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ব্রিটেনের প্রাক্তন চ্যান্সেলর এবং অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তাঁর উল্টো দিকে রয়েছেন ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
এই ভোট অবশ্য আপামর জনসাধারণের ভোট নয়। বিশেষ পরিস্থিতিতে শাসক দল কনজ়ারভেটিভের ১ লক্ষ ৬০ হাজার সদস্য ভোট দিয়ে বেছে নেবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরিকে। আর দলের সিদ্ধান্ত মেনে পদত্যাগ করবেন পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বরিস।
সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ফল ঘোষণা। অনলাইন আর ব্যালটে দেওয়া ভোট গণনা শুরু হয়েছে কনজ়ারভেটিভ ক্যাম্পেন হেডকোয়াটার্স (সিসিএইচকিউ)-এ। ফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং অফিসার স্যর গ্রাহাম ব্র্যাডি। অধিকাংশ সমীক্ষার ফল এবং সংবাদ মাধ্যমের একাংশের মতে, ভোটাভুটিতে এগিয়ে রয়েছেন লিজ। সুনকের জেতার সম্ভাবনা কম। তবু শেষ মুহূর্তেও আশাবাদী ৪২ বছরের সুনক। আজ ‘রেডি ফর ঋষি’ নামে তাঁর প্রচার পর্ব শেষ করে সুনক টুইট করেছেন, ‘ভোটাভুটি শেষ। আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ। আমার প্রচারকর্মীরা, যাঁরা আমায় সমর্থন করেছেন, আমার পাশে থেকেছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। সোমবার দেখা হচ্ছে।… প্রচারের এই ছয় সপ্তাহের প্রতিটা সেকেন্ড চুটিয়ে উপভোগ করেছি।’
ভোটের প্রচারে ঋষির তুরুপের তাস ছিল মূল্যবৃদ্ধির কড়া দাওয়াই, অবৈধ অভিবাসন রুখতে দশ দফা পরিকল্পনা, ব্রিটেনের রাস্তাকে অপরাধমুক্ত করে আরও নিরাপদ করে তোলার মতো শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি। তবে সেই প্রতিশ্রুতির হাত ধরে সুনকের জয় আসবে কি না, তা জানতে আর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক কিছু পর্ব রয়েছে। জনসমক্ষে ফল ঘোষণার ১০ মিনিট আগে সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ভোটের ফল জানতে পারবেন। তার পরে প্রকাশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন তিনি। সাধারণত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বাকিংহাম প্রাসাদে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিয়োগ করেন। সেটাই রীতি। এ বার তার ব্যতিক্রম হবে। এই প্রথম ইংল্যান্ডের বাইরে কেউ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হবেন। চলাফেরায় অসুবিধার কারণ রানি এখন স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে। নয়া নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়ে রানির হাত থেকে নিয়োগপত্র নেবেন।