মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা যে রাজ্যগুলিতে পরছে, সেখাকার মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি’র সঙ্গে আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে উল্লেখযোগ্য ভাবে অনুপস্থিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য থেকে মুখ্যসচিব মলয় দে এবং ডিজিপি বীরেন্দ্র দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছেন। বিষয়টিকে রাজনৈতিক ময়দানে নিয়ে যেতে চায় বিজেপি।
বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোঁড়া, দাম্ভিক মুখমন্ত্রী জনস্বার্থের কথা মাথায় রাখেন না। তিনি শুধু ক্ষুদ্র রাজনৈতিক চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রী বলে এসেছেন রাজ্যে কোনও মাওবাদী নেই। এখন উনি যদি যান, তবে তো ওর মিথ্যা কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে ধরা পড়ে যাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুঁটিনাটি সব খবর রাখেন।
দিলীপের আরো বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মুখে বলেন মিলে মিশে থাকবো, একসাথে উন্নয়নের কাজ করবো, কিন্তু ক্ষুদ্র রাজনৈতিক পরিসরের বাইরে যেতে পারেন না। অন্যদিকে, বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) ফেডারেল স্ট্রাকচার নিয়ে মাঝে মাঝেই জ্ঞান দেন। কিন্তু, সাংবিধানিক রীতিনীতি মানেন না। তাহলে আমরা বলবো, উনি জঙ্গলের মুখ্যমন্ত্রী।
যেসব রাজ্যে মাওবাদী এলাকা রয়েছে, সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি কী বা কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতা নিয়েই আলোচনা। এটা তো জন সাধারনের নিরাপত্তার ইস্যু। সংকীর্ণ রাজনীতির চশমা দিয়ে দেখছেন উনি। গোঁড়া, দাম্ভিক একজন মুখমন্ত্রী জনস্বার্থের কথা চিন্তা করেন না। বাস্তবক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে রয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। লোকসভা নির্বাচনের আছে বা পরে অমিত শাহ’র সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ কথা বলেছেন বলে শোনা যায় না। রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল নিয়োগের সময় টেলিফোনে মমতার সঙ্গে কথা বলেন অমিত। আপাতত সেটিই এখন পর্যন্ত শেষ বার্তালাপ যা টুইট করে জানিয়েছেন মমতা নিজেই।