প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়লেন নোভাক জোকোভিচ। নেদারল্যান্ডসের টিম ভান রিথোভেনের বিরুদ্ধে তাঁর দীর্ঘ লড়াই শেষ হল উইম্বলডনের ঘাসের কোর্টে। যে কোর্টে তিনি বার বার পড়লেন, উঠলেন আবার পড়লেন। শেষ পর্যন্ত জিতলেন ৬-২, ৪-৬, ৬-১, ৬-২ সেটে।
২৫ বছরের রিথোভেন গোটা ম্যাচে বার বার প্রশ্নের মুখে ফেললেন জোকোভিচকে। সেন্টার কোর্টের শতবর্ষ পালনে প্রথম বার উইম্বলডনে প্রথম রবিবার খেলা হল। যে দিনে এত বছর কোনও খেলা হত না, সেই নিয়মে বদল হল এ বছর। খেলতে নামলেন জোকোভিচ। প্রথম সেটে জিতলেও দ্বিতীয় সেট খোয়াতে হয় তাঁকে। ম্যাচ শেষে জোকোভিচ নিজেও জানালেন অচেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শুরুতে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর। টিমের গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হল জোকোভিচকে।
উইম্বলডনে ৮৩টি ম্যাচ জেতা হয়ে গেল জোকোভিচের। ঘাসের কোর্টে টানা ২৫টি ম্যাচে জয় পেলেন তিনি। ১৩তম বার উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন জোকোভিচ। কিন্তু এ সব কিছুর পথেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ছ’ফুট এক ইঞ্চির টিম। তাঁর লড়াকু মানসিকতার সামনে খেই হারিয়ে ফেলছিলেন জোকোভিচ। গোটা ম্যাচে ২০টি এস মারেন টিম। জোকোভিচ মেরেছেন মাত্র সাতটি। বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়কে বার বার নেটের কাছে টেনে আনলেন টিম। কখনও ড্রপ শটে জোকোভিচকে বিপাকে ফেললেন, কখনও নিজের পাতা ফাঁদে পা হড়কালেন নিজেই।
দ্বিতীয় সেটে জয়ের পর টিম বেশ খানিকটা আক্রমণাত্মক ভাবেই শুরু করেছিলেন তৃতীয় সেটে। কিন্তু মাত্র অভিজ্ঞ জোকোভিচ খুব বেশি সময় নেননি তাঁর প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে। কখনও লম্বা র্যালি শেষ হল টিম বল নেটে মারায়, আবার কখনও তিনি বলের কাছে পৌঁছতে না পারায়। তাঁর মারা এসগুলির কোনও জবাব ছিল না জোকোভিচের কাছে। কিন্তু বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা এক বার প্রতিপক্ষের খেলার ধরন বুঝে ফেলার পর খুব বেশি পরিশ্রম হয়নি।
সেন্টার কোর্টের শতবর্ষে জোকোভিচের এই লড়াকু জয় সাবাধানবানী শুনিয়ে রাখল জানিক সিনারকে। কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর বিরুদ্ধেই খেলবেন জোকোভিচ।