বিমানবন্দর থানার অধীন উত্তর দমদম পুর এলাকার বাসিন্দা, কলেজপড়ুয়া রূপম বন্দ্যোপাধ্যায় নিখোঁজ হয়েছিলেন দু’সপ্তাহআগে। বিমানবন্দর থানায় মিসিং ডায়েরিও করা হয়েছিল। তাঁর পরিবার সূত্রের দাবি, গঙ্গা তীরবর্তী কলকাতার বিভিন্ন থানাতেও পরিবারেরসদস্যরা খোঁজ নিয়েছিলেন। শনিবার পুলিশ মারফত তাঁদের এসএসকেএমের মর্গে যেতে বলা হয়। সেখানে রূপমের দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের এক সদস্য। রূপম কলকাতার একটি কলেজে বাণিজ্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। উত্তর দমদমের ইন্দিরানগরের বাসিন্দা লক্ষ্মী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র সন্তান রূপমের মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।রবিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
মৃতের মামা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় জানান, ১৮ জুন থেকে রূপমের খোঁজ মিলছিল না। মোবাইলও বন্ধহয়ে যায়। অনেক খোঁজখবর করেও কোন লাভ হয়নি। ওই রাতে বিমানবন্দর থানায় মিসিং ডায়েরি করার পাশাপাশি হাসপাতাল ও বিভিন্ন থানাতেও খোঁজ নেন তাঁরা। এর পরে গত শনিবার পুলিশ থেকে তাঁদের এসএসকেএমে যেতে বলাহয়। সেখানে রূপমের দেহ শনাক্ত করা হয়। জানা যায়, ২০ জুন দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় গঙ্গা থেকেদেহটি উদ্ধার করা হয়েছিল। তার পর থেকে সেটি এসএসকেএমের মর্গে ছিল। থানায় মিসিং ডায়েরি করাএবং বিভিন্ন থানায় জানানো সত্ত্বেও দেহ উদ্ধারের এত দিন পরে কেন বিষয়টি জানা গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিজনেরা। যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, দেহ উদ্ধার করা হলেও পরিচয় জানা যাচ্ছিল না।