কাশ্মীর ইস্যুতে নিজের দেশেই একঘরে হয়ে গেলেন ইমরান খান, ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীরা হল একজোট

কাশ্মীর নিয়ে নিজের ঘরেই একঘরে হয়ে যাচ্ছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিরোধী দল গুলো কাশ্মীর বিক্রি করার অভিযোগ তুলেছে ওনার উপর। ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীরা একজোট হওয়ার পরিকল্পনা করছে। পাকিস্তানের বিরোধী দল ইমরান খান সরকারের উপর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে কাশ্মীর বিক্রি করার অভিযোগ উঠিয়েছে। এমনকি ইমরান সরকারকে চারিদিক থেকে ঘেরার জন্য বিরোধী দল গুলো চরম হুঁশিয়ারি বার্তাও জারি করেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন” এ প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিরোধী দল এমপিসি এর সংযোজক এবং জমিয়ত-এ-ইসলাম এর প্রধান নেতা মৌলানা ফজলুর রেহমান একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘সমস্ত বিরোধী দল দুল ইসলামাবাদ গিয়ে বড়সড় আন্দোলন করার নির্ণয় নিয়েছে।”

তিনি বলেন, সমস্ত বিরোধীরা এক হয়ে আজ এক অভিযানের সূচনা করেছে। আমরা সবাই মিলে সরকার ভেঙেই দম নেব। কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের তকমা বিলুপ্ত করা নিয়ে মৌলানা ফয়জল বলেন, পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে কাশ্মীরকে বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি দেখে একটাই কথা বলা যায় যে, গত মাসে ইমরান খান যখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেছিলেন, তখনই কাশ্মীর বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। ইমরান সরকার তখন এটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ভবিষ্যতে ভারত যদি কাশ্মীরের কোন বদল আনে, তাহলে ইমরান সরকার শুধু চুপচাপ বসে বসে দেখবে সেটা।”

মৌলানা বলেন, ‘আজ পাকিস্তান আর কাশ্মীরের মানুষ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। আর এর জন্য আমাদের দেশের সরকার দায়ি। আমাদের শাসক দল কাশ্মীর নিয়ে আমাদের পিঠে ছুরি মেরেছে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীর থেকে ভারত সরকার ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করা এবং কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের তকমা দুলে দিয়ে জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্র শাসিত রাজ্য বানানোর প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছে পাকিস্তান। আর এই নিয়ে বারবার পাগলামো দেখা যাচ্ছে তাঁদের দিক থেকে। আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নালিশ করে নিজেরাই একঘরে হয়ে গেছে পাকিস্তান। এবার তাঁরা কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.