প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার ব্যক্তিগত ভাবে কোয়াড নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছেন। এই সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার ভোরে টোকিও পৌঁছান মোদী। প্রধানমন্ত্রীর আগামী দুই দিনের অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে কাটতে চলেছে। মোদীর সময়সূচী অনুযায়ী, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বসবেন। উল্লেখ্য, অ্যান্থনি অস্ট্রেলিয়ার নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের ঠিক একদিন পর কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কোয়াড মিট হবে এটি।
এদিকে এদিন ভোরে জাপানে পা রেখেই জাপানি ভাষায় টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি লেখেন, ‘টোকিওতে অবতরণ করেছি। এই সফরে কোয়াড সামিট, সহকর্মী কোয়াড নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাত, জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেব আমি।’ সফরকালে মোদী প্রথম দিনে ব্যবসায়ী নেতা এবং জাপানে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন।
সোমবার ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) চালু করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডাকা এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে সাপ্লাই-চেন স্থিতিশীল করা, পরিচ্ছন্ন শক্তি, অবকাঠামো এবং ডিজিটাল বাণিজ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতেই ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারেটি (আইপিইএফ) গঠন করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিকে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আগে চিন বলেছে যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক এই জোট আদতে অঞ্চলে বিভাজন সৃষ্টি এবং সংঘাত উসকে দেওয়ার একটি চক্রান্ত।