বেলা বাড়তে বৃষ্টি একটু কমেছে ঠিকই। তবে এখনও জলমগ্ন শহর কলকাতা। জল নামেনি রাস্তা থেকে। অনেকেই বাড়ি থেকে বেরতে পর্যন্ত পারেনি।
এরই মধ্যে আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিল আলিপুর হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। এতে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। শুধু তাই নয়, ঘূর্ণাবর্ত আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আর তা শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হলে রবিবার থেকে শহরে আরও বৃষ্টিপাত হবে বলে মনে করছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
গত ৪৮ ঘন্টায় লাগাতার বৃষ্টিতে এমনিতেই জলের তলায় শহর কলকাতা। টালা-টালিগঞ্জ সর্বত্র জল যন্ত্রণার ছবি। এই অবস্থায় পথে নেমেছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শহরের সর্বত্র ঘুরে ঘুরে দেখছেন পরিস্থিতি। প্রত্যেকটি পাম্পিং স্টেশন ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তিনি। এই অবস্থায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাসে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুর-কর্তাদের।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরেই ছুটি বাতিল করা হল পুরকর্মীদের। জানা গিয়েছে, নিকাশি সহ সব জরুরি বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ওই সব বিভাগের কর্মীদের আজ শনিবার ছুটির পরও কাজ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামীকাল রবিবারও পুরোদিন অফিস করতে হবে বলে নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই ভারী থেকে অতি ভারীবৃষ্টি হয়ে চলেছে শহর জুড়ে। ইতিমধ্যেই জল জমে থাকায় কপালে চিন্তার ভাঁজ শহরবাসীর। জল জমে রয়েছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা, ইকবালপুর, বালিগঞ্জ, মানিকতলা, বেলগাছিয়া, উল্টোডাঙ্গা, কালীঘাট প্রভৃতি জায়গায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মানুষজন। যান চলাচলে তো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেই, বাড়ির ভিতরে পর্যন্ত জল ঢুকে পড়েছে। তবে শনিবার সপ্তাহের শেষ, তাই অফিসকর্মীরা একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছেন। সারা বছর খোঁজ না নিলেও জল পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার জন্য অনেকেই এখন ভরসা করতে হচ্ছে রিকশাতে।