স্পেশ্যাল ফ্লাইটে ওঠার কিছুক্ষণ আগেই ভোটের দিন ঘোষণা, নির্মলা উঠলেন সাধারণ বিমানে

রবিবার ভোটের দিন ঘোষণার পরেই দেশ জুড়ে লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। তাই এদিন চেন্নাই থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য আর বিশেষ বিমানে চড়লেন না প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার বদলে তিনি উঠলেন কমার্শিয়াল ফ্লাইটে। চেন্নাইয়ে সরকারি গাড়িতেও চড়েননি নির্মলা। তাঁকে গাড়িতে বিমান বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন এক বিজেপি নেতা।

রবিবার স্পেশাল ফ্লাইটেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চেন্নাই থেকে দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল। সেই বিমান ওড়ার কিছুক্ষণ আগেই নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ বিমানে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন মন্ত্রী। বিজেপি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, নির্মলা ৮ টা ৪০-এর বিমানে দিল্লি ফিরেছেন। বিমান বন্দর সূত্রে জানা যায়, প্লেনে ওঠার আগে তিনি এয়ারপোর্টের অফিসারদের বলেন, কেউ যেন তাঁকে বিদায় জানাতে টার্মিনাল অবধি না আসেন।

ভোট যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেজন্য নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে লাগু হয় আদর্শ আচরণবিধি। সেইমতো গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়েছে।

সংবিধানের ৩২৪ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকার, প্রতিটি রাজ্য সরকার, প্রত্যেক প্রার্থী এবং তাঁদের দলের প্রতি নজর রাখতে পারে।

আদর্শ আচরণবিধি মোট আটটি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। প্রার্থীর আচরণ, মিটিং, মিছিল, ভোটের দিন, ভোটের বুথ, অবজারভার, শাসক দল এবং নির্বাচনী ইসতেহার। এসব ক্ষেত্রে কয়েকটি বিধিনিষেধ জারি করে কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি বিপক্ষের কর্মসূচি, নানা পলিসি, অতীতের নানা কাজ নিয়ে সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু তারা জাতপাত বা সম্প্রদায়ের নামে ভোট চাইতে পারবে না। কোনও দল ভোটারদের ঘুষ দিতে পারবে না। ভয় দেখাতেও পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা, বিপক্ষের বিরুদ্ধে এমন কোনও অভিযোগ করা যাবে না, যার প্রমাণ নেই। রাজনৈতিক দলের সভাসমাবেশ করতে হলে আগে স্থানীয় পুলিশকে জানানো বাধ্যতামূলক। পুলিশ যাতে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে সেজন্য তাদের সময় দিতে হবে।

আদর্শ আচরণবিধিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বিপক্ষের কারও কুশপুত্তলিকা দাহ করা চলবে না। দু’টি দল একই রাস্তায় রোড শো করতে পারবে না। পোলিং বুথে ভোটার বাদে একমাত্র তাঁরাই প্রবেশাধিকার পাবেন, যাঁদের কাছে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পত্র আছে।

ভোটের দিন ঘোষণার পরে সরকার কোনও নতুন পলিসি ঘোষণা করতে পারবে না। মন্ত্রীরাও সরকারি প্রশাসনের সুবিধা নিতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.