চৈনিক বন্দনায় ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাম নেতা মানিক সরকার

গত রবিবার ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাম নেতা মানিক সরকার জানালেন, চিনের বিরুদ্ধে অন্য কোনো দেশের মাটি দখল করে রাখার মতো কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু কয়েক মাস আগেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা মোতায়ন না করা নিয়ে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে, তা মানতে চায়নি বেজিং। এর ফলেই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয়। শুধু তাই নয়, পূর্ব লাদাখের যাবতীয় সমস্যার জন্য বেজিং দায়ী করেছিল ভারতকে।

ট্রাইবাল ইউথ ফেডারেশানের ১৬ তম কেন্দ্রীয় কনফারেন্সে এসে মানিক সরকার জানান, ”চিন অন্য কোনও দেশের জায়গা দখল করে নিয়েছে ও তার উপর বসে রয়েছে এমন কোনও অভিযোগ কোথাও নেই। আমি দেখছিলাম একজন কমরেড সীমান্ত নিয়ে আলোচনা করছিলেন একটা আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে।”

শুধু তাই নয় তার, এই বক্তব্যের পাশাপাশি পাল্টা যুক্তি দিয়ে মানিক সরকার বলেন, ”১৯৬০ সালে চিন ভারতে এসেছিল ঠিক কথাই, কিন্তু এই দেশ ছেড়ে চলেও গিয়েছিল। বিনোবা ভাবে যিনি কমিউনিস্ট ছিলেন না তাঁর কথা আপনি যদি শোনেন, তিনি বলেছিলেন, ১৯৬০ সালের পরে চিনকে কেউ থামাতে পারেনি। তারা শক্তি দেখিয়েছে। কিন্তু সেটা দখল করার জন্য নয়। তারা শক্তির প্রমাণ দিয়েছে। আবার ফিরেও গিয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.