সরকারি চাকরি পেতে ভুয়ো নথি পেশ। পরে ধরা পড়ায় চাকরি যায় মহিলার। এহেন পরিস্থিতিতে সহানুভূতির উপর ভিত্তি করে যাতে চাকরি থেকে তাঁকে বের না করা হয়। এই আবেদন জানিয়েই মাদ্রাজ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। সেই মামলা খারিজ করে উচ্চ আদালতের তরফে বলা হয়, ‘বর্তমানে সরকারি কর্মীদের রক্তের মধ্যে মিশে গিয়েছে দুর্নীতি।’ বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন এবং বিচারপতি এএ নক্কিরনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হচ্ছিল।
এম তামিলসেলভি একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। নিজের আবেদনে তিনি জানান যে তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ নিয়োগের সময় তিনি ভুয়ো নথি জমা দিয়েছিলেন। তাঁর আবেদন ছিল, তাঁর চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত যেন ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তবে মাদ্রাজ হাই কোর্ট সরকারি সিদ্ধান্তকেই বহাল রেখেছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এর আগে মামলাটি সিঙ্গল বেঞ্চে দায়ের করা হলে উচ্চ আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, ‘সংশ্লিষ্ট মহিলা নিসন্দেহে ভুল করেছেন। তবে এই ভুলের নেপথ্যএ সরকারি কর্মচারীরও অবদান ছিল।’ এই আবহে উচ্চ আদালত জানায় যে এই চাকরি বাতিলের বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পরিণত করার কোনও কারণ নেই। কারণ এই বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে অবসরে পরিণত করলে সেই বরখাস্ত কর্মীকে পেনশন ও পিএফ-এর টাকা দিতে হবে। সাধারণ মানুষের করের টাকা দিয়ে এই পেনশন বা পিএফ-এর টাকা দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না বলে মন্তব্য করে উচ্চ আদালত। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও।