করোনা সম্পর্কে নতুন নতুন গবেষণা এই ভাইরাসটার নতুন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছে। হালে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন নিয়েও নিরন্তর কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকেই উঠে এসেছে নতুন প্রশ্ন— ওমিক্রন কি চোখ দিয়েও শরীরে প্রবেশ করতে পারে?
কেন এই প্রশ্ন উঠে এল? তার কারণ পরিসংখ্যান বলছে, ওমিক্রন আক্রান্তদের অনেকে তো বটেই, কোভিডের সব ধরনের সংক্রমণেই প্রতি তিন জনের একজনের চোখ লাল হয়ে যায়। এর কারণ কী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার জীবাণু চোখের কনজাংটিভায় সংক্রমণ ঘটায়। ফলে কনজাংটিভাইটিস হয়। তাই অনেকেরই চোখ লাল হয়ে যায়। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কীভাবে চোখে সংক্রমণ ছড়াতে পারে? তারও উত্তর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সংক্রমিতের শরীর থেকে কোনও বস্তুর ওপর জীবাণু ছড়িয়েছে। পরে সেখানে কেউ হাত দিয়েছেন। এবং সেই হাত চোখে গিয়েছে। এভাবেই করোনার জীবাণু চোখে পৌঁছে যায়। এমনকী নিজের শরীরে থাকা করোনার জীবাণুও হাতের মাধ্যমে চোখে পৌঁছে গিয়ে এই সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কিন্তু চোখ দিয়ে কি করোনার জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে? এখনও এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে দুই দলে বিভক্ত বিজ্ঞানী মহল। কারও মত, চোখ থেকে কনজাংটিভা হয়ে শরীরে প্রবেশ করতেই পারে করোনার জীবাণু। কারও মত, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়, কারণ তার জন্য হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।
তবে চোখের সংক্রমণ আটকানোর পদ্ধতি নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই বিজ্ঞানী মহলে। সকলেরই মত, নিয়মিত হাত ধুতে হবে, না হলে অন্তত স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। নিজের কোভিড সংক্রমণ হয়ে থাকলেও সাবধান হতে হবে। নিজের মুখে হাত দিয়েসেই হাত চোখে যাতে না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।