সারা দেশে কোভিডের নয়া রূপ ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে বৃহস্পতিবার দিল্লি এবং মুম্বইতে করোনভাইরাস সংক্রমিতদের সংখ্যা আচমকাই ঊর্ধ্বমুখী হল। দিল্লি টানা তৃতীয় দিন কোভিডে নতুন করে ১১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে মুম্বই ৬০২টি নতুন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। বিগত ৭৭ দিনে শহরে এটাই সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এদিকে মুম্বইতে বৃহস্পতিবার পাঁচজন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। মহারাষ্ট্রের পুণেতেও ওমিক্রন সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার খোঁজ মেলে ১৩ জন ওমিক্রন আক্রান্তের।
দিল্লিতে বৃহস্পতিবারের নতুন কোভিড মামলার পরিসংখ্যান অবশ্য বুধবারের থেকে সামান্য কম ছিল। বুধবার দিল্লিতে ১২৫ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন। এর আগে মুম্বইতেও বুধবার ৪৮০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। সেই তুলনায় বৃহস্পতিবার একলাফে অনেকটাই বাড়ে সংক্রমণের হার। এর সাথে, দিল্লির মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৩৩। অপরদিকে মুম্বইতে করোনা সংক্রমণের মোট সংখ্যা বেড়ে হল ৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭৫০। এদিকে করোনার জেরে শুধুমাত্র মুম্বইতে মারা গিয়েছে ১৬ হাজার ৩৬৭ জন এবং দিল্লিতে মারা গিয়েছেন ২৫ হাজার ১০৩ জন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে দেশ জুড়ে বেড়ে চলেছে ওমিক্রন সংক্রমণ। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই ৩০০-র গণ্ডি পার করার দিকে এগোচ্ছে। ওমিক্রন সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তালিকায় আছে তেলাঙ্গানা ও কর্ণাটক। নতুন করে ওমিক্রন হানা দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও রাজস্থানে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশের ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বাসা বেঁধেছে ওমিক্রন। আর এই আবহে মুম্বই ও দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখূ হওয়ায় বেশ চিন্তায় সরকার। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।